ছবি- প্রতীকী
রুপোর পাত্রে খাওয়াদাওয়ার চল বহু দিনের। আগে রাজা, জমিদার গোত্রের মানুষ রুপোর পাত্রে খাওয়াদাওয়া করতেন। এখনও শিশুদের রুপোর বাটি, চামচে খাওয়াতে বলেন বাড়ির বড়রা। বিশেষ বিশেষ খাবার বা মিষ্টিতে রুপোর তবক দেওয়ারও চল রয়েছে। আয়ুর্বেদেও রুপোর বহু গুণাগুণের উল্লেখ রয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি রূপচর্চায়ও রুপো ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে রূপচর্চার বিভিন্ন প্রসাধনীতেও রুপোর মিহি গুঁড়ো থাকে বলে দাবি করে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। ত্বকের ক্ষেত্রে রুপোর ব্যবহার কেন এত জনপ্রিয়?
ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধী
রুপোর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সব রকম সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। ফলে শুধু খাওয়াদাওয়া নয়, ত্বকের যে কোনও ক্ষত সারাতে রুপো বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।
ব্রণর সমস্যায়
তৈলাক্ত ত্বক মানেই ব্রণর সমস্যা। ত্বকে সেবাম বা তৈলগ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে রুপো। এ ছাড়া, স্পর্শকাতর ত্বকে বা ত্বকের প্রদাহে রুপো বিশেষ ভাবে কার্যকর। রুপোর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বককে ঠান্ডা রাখে।
তারুণ্য ধরে রাখতে
রুপোর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের উপরে থাকা টক্সিন দূর করে। বয়সজনিত সমস্যা যেমন বলিরেখা, দাগছোপের উপর দারুণ ভাবে কাজ করে।
তবে বাজার চলতি প্রসাধনীগুলিতে যে রুপো ব্যবহার করা হয়, তা কত খাঁটি, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। ব্যবসায়িক স্বার্থে অনেকেই রুপোর নামে অন্য ধাতুর গুঁড়ো ব্যবহার করেন। তাই গুণগত মান যাচাই করে তবেই এই ধরনের প্রসাধনীগুলির পিছনে অর্থব্যয় করা উচিত।