ঝলমলে পাথর বসানো সোনালি রঙের ওই পোশাকে উজ্জ্বল সারা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
একটা সময়ে ফ্যাশনে রমরমা চলছিল মিনিমালিজ়মের। অর্থাৎ, বাহুল্য যত কম ততই ভাল, ততই সহজ এবং ততই সুন্দর। সেই ঢেউয়ে ভেসেছিলেন খাস প্যারিসের ফ্যাশন শ্রেষ্ঠরাও। লুই ভিতোঁ, শ্যেনেল, ক্রিশ্চিয়ান ডায়র, জিভানসি, লুবোতিনের মতো নামী ফরাসি সব ব্র্যান্ড শুরু করেছিল এক রঙা ছিমছাম পোশাক বানাতে। বাড়তি নকশা বা কারুকাজের বালাই ছিল না সেই সব পোশাকে, তবু তাতেই মাতোয়ারা ছিল রূপোলি দুনিয়া। সেই মিনিমালিজ়মের আবেদন ইদানীং কমছে। ফ্যাশনে নতুন করে ফিরছে ম্যাক্সিমালিজ়ম। নামেই বোঝা যায়, মিনিমালিজ়মের ভাবনার ঠিক উল্টো পিঠে এর অবস্থান। সব কিছুই বেশি। রংচঙে, ঝলমলে, নকশার আধিক্য, কারুকাজ আর কাটিংয়ের অতি বিস্তার। সম্প্রতি তেমনই পোশাক পরে ফ্যাশন সমালোচকদের নজরে পড়েছেন বলিউডের নবাবকন্যা সারা আলি খান।
ঝলমলে পাথর বসানো সোনালি রঙের ওই পোশাকে উজ্জ্বল সারাকে দেখলে হঠাৎ মিশরের রানি ক্লিওপেট্রার কথা মনে পড়ে যেতে পারে। পোশাক জুড়ে বোনা রয়েছে লাল-সবুজ-সাদা পাথর আর ছোট-বড় সোনালি পুঁতি। শরীরের উপরের অংশে ঠাঁসা কাজের গাউনের আড়াল থেকে স্পষ্ট দৃশ্যমান উরু। ভারতীয় পোশাকশিল্পীদ্বয় আবু জানি আর সন্দীপ খোসলা নকশা করেছেন সারার পোশাকের। পোশাকের নাম রেখেছেন মধ্য যুগের রোমান সাম্রাজ্য বাইজ়ানটাইনের নামে— বাইজ়ানটাইন গাউন।
ইতিহাস বলছে রোমের সেনাপতি জুলিয়াস সিজ়ারে সঙ্গী ছিলেন ক্লিওপেট্রা। পরে বিয়ে করেন রোমের রাজনীতিবিদ মার্ক অ্যান্টনিকে। রোমান রাজনীতিতে ক্লিওপেট্রার প্রভাবও ছিল যথেষ্ট। সারার পোশাক দেখে সেই ক্লিওপেট্রার কথাই মনে পড়েছে ফ্যাশনপ্রেমীদের।
বাইজ়ানটাইন গাউনের সঙ্গে প্যারিসের ডায়োসার একটি হার পরেছেন সারা। সেই হারের পিঠের দিকে ঝুলছে অজস্র বিডস আর পাথর। সঙ্গে একটি সোনালি রঙের ‘কেপ’ এবং সোনালি জুতোও পরেছেন তিনি। সারার পোশাক দেখে ফ্যাশন সমালোচকেরা বলছেন, সারার পোশাকে ম্যাক্সিমালিজ়মকে ফ্যাশনের নতুন ধারা তৈরি করলেন পোশাকশিল্পীরা।