সব্যসাচীর পোশাক পরেও কেন দুঃখী মডেল? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
দীপিকা পাড়ুকোন কিংবা প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, ক্যাটরিনা কইফ থেকে আলিয়া ভট্ট— বলিউড তারকাদের বিয়ের পোশাক তৈরি করার দায়িত্বে কিন্তু থাকেন বাঙালি পোশাকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। দেশের অন্যতম ধনী শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর কন্যা ঈশা অম্বানীর বিয়ের পোশাকের নকশাও কিন্তু করেছিলেন সব্যসাচী। বিয়ের পোশাকের জন্য এখন কনেদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকেন সব্যসাচী। তবে অনেক কনের ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয় না। সব্যসাচীর নকশা করা বিয়ের লেহঙ্গার দামই তো শুরু হয় ৫ লক্ষ টাকা থেকে। সম্প্রতি সব্যসাচীর নকশা করা পোশাকের বিজ্ঞাপন নিয়ে ব্যাপক ট্রোল হচ্ছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। না, সব্যসাচীর নকশা নিয়ে কারও কোনও সমস্যা নেই, সমস্যা হল মডেলটিকে নিয়ে।
সব্যসাচীর নতুন কালেকশনে মডেলকে দেখা যাচ্ছে গোলাপি রঙের অরগ্যাঞ্জা শাড়িতে। শাড়ির ধার বরাবর পাটা জড়ির পাড়। মডেলের পরনে লাল সিল্কের ব্লাউজ়, মাথায় লাল জড়ির নকা করা নেটের ওড়না। মডেলের গায়ে ছিল সব্যসাচীর নকশা করা গয়নাও। তবে এই প্রথম বার সব্যসাচীর নকশা করা পোশাক কিংবা গয়নার তুলনায় মডেলের দুখি-দুখি মুখটা নেটাগরিকদের সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে।
নেটাগরিকরা মশকরা করে বলছেন, মডেলের বুঝি সব্যসাচীর নকশা করা পোশাক মনে ধরেনি, তাই মুখের এই হাল করেছেন। মহিলা মডেলের চোখ-মুখে যেন দুঃখের ছাপ। এক জন লিখেছেন, ‘‘যখন আপনি কোনও ছেলেকে বিয়ে করতে চান না, অথচ সেই ছেলে আপনাকে সব্যসাচীর পোশাক কিনে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তখন বোধ হয় কনের মুখের হাবভাবটা এমনই হয়!’’ আর এক জন লিখেছেন, ‘‘বিয়ের দিন সব্যসাচীর বিপণি থেকে রসিদটা হাতে পেলে এমনই হাল হয়।’’