ফ্যাশনে চমকে দিলেন নীতা অম্বানী। —ফাইল চিত্র।
ওলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক্সজয়ী ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের আপ্যায়ন করবেন বলে নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন নীতা অম্বানী। মুম্বইয়ে অম্বানীদের ‘প্রাসাদ’ অ্যান্টিলিয়ায় একেবারে ব্যাক্তিগত পরিসরের মানুষজনকে নিয়ে আয়োজন করেছিলেন বিশেষ নৈশভোজে। সেই নৈশভোজের আসরে আমন্ত্রিত ছিলেন মনু ভাকের, নীরজ চোপড়া, নবদীপ সিংহ এবং মোনা আগ্রওয়ালেরা। তবে নৈশভোজে তাঁরা কী করলেন না করলেন, তা নিয়ে যত না আলোচনা হয়েছ, তার থেকে অনেক বেশি আলোচনা হয়েছে অম্বানী ঘরনি নীতার পোশাক নিয়ে। কারণ, ক্রীড়াবিদদের আপ্যায়নে নীতা সেজেছিলেন একটি টুকটুকে লাল রঙের শিফন শাড়িতে। ফ্যাশন সমালোচকেরা বলছেন, ওই একটি শাড়িতে নব্বইয়ের দশকের বলিউডের ‘বোল্ড অ্যান্ড গ্ল্যামারাস’ নায়িকাদের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন নীতা।
বলিউডে শিফন শাড়ি এবং লাল রং বললে এক নিঃশ্বাসেই মনে পড়ে রেখা, শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিত, কাজল, উর্মিলা মাতণ্ডকরদের কথা। ফ্যাশন সমালোচকেরা বলছেন, নব্বইয়ের দশকের সেই লাল শিফনের ফ্যাশন ছিল অনেক বেশি সাহসী এবং একটু উচ্চকিতও। নীতা সেই একই লাল শাড়িতে রেট্রোর অনুভব বজায় রেখে এনেছেন আভিজাত্যও। আর সেখানেই লাল শিফনের শ্রীদেবী আর মাধুরীদের টক্কর দিয়েছেন তিনি।
অ্যান্টিলিয়ার নৈশভোজে নীতার পরা শিফন শাড়িটি অবশ্য একেবারে সাদামাঠা শিফনও ছিল না। নীতার লাল শাড়িতে ছিল লালেরই সামান্য গাঢ় রঙের গ্লিটারি অ্যাবস্ট্রাক্ট পাড়। পাড়ের কাজ ছিল লম্বা হাতের লাল ব্লাউজেও। তাতে সাধারণ শিফনের অনেকটা আলাদা মাত্রা পেয়েছিল নীতার সাজ।
অম্বানী পরিবারের যে কোনও অনুষ্ঠানেই অবশ্য নীতার সাজ আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। কখনও নীতার মহার্ঘ্য অলঙ্কার, কখনও সোনায় বাঁধানো বটুয়া, কখনও বা তাঁর রত্নখচিত শাড়ি উঠে আসে খবরের শিরোনামে। ওলিম্পিয়ানদের আপ্যায়নের অনুষ্ঠানে অবশ্য নীতার সাজে কোনও বাহুল্য ছিল না। লাল শিফনের সঙ্গে এক হাতে হিরে বসানো সোনার দু’টি বালা পরেছিলেন নীতা। অন্য হাতে পরেছিলেন একটি সোনালি রঙের ঘড়ি। ঢেউ খেলানো চুল খুলে রেখেছিলেন। হালকা মেক আপে কপালে লাল টিপ। কানে হিরের দুল আর গলায় একটি মাত্র হিরের পেনডেন্ট।