জাহ্নবী কপূর। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
তাঁকে নিয়ম মেনে মেপে জুপে খাবার খেতে হয়। সেই রুটিনের পান থেকে চুন খসবার জো নেই। তা হলেই বিপত্তি। এমনই পেশা, যেখানে দেখনদারি জরুরি। সুন্দর চেহারা, সুন্দর গড়ন বাড়তি নম্বর পায়। কিন্তু তা বলে কি নিয়ম ভাঙতে ইচ্ছে হয় না। অভিনেত্রী জাহ্নবী কপূরের তেমন ইচ্ছে মাঝে সাঝেই হয়। মিষ্টি খাওয়া বারণ। তবু আইসক্রিম কেক ‘কাসাটা’ খাওয়ার সাধ জাগে যথন তখন। অভিনেত্রী সেই ইচ্ছের পালে রাশ টানেন কী করে? অন্য সময়ে কী করেন তা না জানা গেলেও সম্প্রতি জাহ্নবী ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘‘কাসাটা খাওয়ার শখ হয়েছিল। বদলে কাসাটা পরে নিলাম।’’
কাসাটা বা উজ্জ্বল তিন রঙা আইসক্রিম কেক যেকোনও খাদ্যরসিকদের কাছেই লোভনীয়। আধখানা চাঁদের মতো দেখতে ওই আইসক্রিমে মোট পাঁচটি পরত থাকে। একেবারে নীচে থাকে কেক। তার উপরে হালকা কমলা রঙের টুটিফ্রুটি বা কেশর আইসক্রিম। তার উপরে থাকে পেস্তা আইসক্রিমের আস্তরণ। চতুর্থ স্তরটি হয় মিষ্টি গোলাপি রঙের। আর তার উপরে থাকে কুচনো বাদামের ‘টপিং’। সব কাসাটা বাঁধা ধরা একইরকম দেখতে না হলেও ভারতে কাসাটা আইসক্রিম বললে মূলত ওই আইসক্রিম কেককেই বোঝায়। কিন্তু জাহ্নবী সেই আইসক্রিম কেক পোশাকের মতো পরলেন কী করে? তার উত্তর পাওয়া যাবে জাহ্নবীর পোশাকেই। ইনস্টাগ্রামে সে পোশাকের ছবিও দিয়েছেন তিনি।
জাহ্নবী হুবহু কাসাটা আইসক্রিম কেকের মতো রঙেরই একটি শাড়ি পরেছেন। কাসাটার তিন উজ্জ্বল রং— গোলাপি, হালকা সবুজ এবং কমলা খেলা করেছে শাড়ির জমিতে। শাড়িটি তৈরি করেছেন পোশাক শিল্পী মনীশ মালহোত্র। শাড়ির নকশাতেও তাঁর ঘরানা স্পষ্ট। শিফনের পাড় এবং আঁচলে মিহি সুতো এবং বিডসের কাজ। স্বচ্ছ ফুলহাতা ব্লাউজেও রয়েছে সুতো আর বিডসের নকশা করা ফুলের আল্পনা।
মনীশ অবশ্য তাঁর তৈরি ওই শাড়িকে কাসাটা বলে উল্লেখ করেননি। নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় শাড়ির ছবি দিয়ে মনীশ লিখেছেন, ‘‘রং। ক্লাস সিক্সে যবে থেকে স্কুলে আঁকতে শুরু করলাম, তবে থেকে আঁকাই ছিল বিজ্ঞানে পাস করার একমাত্র উপায়। পড়াশোনায় বরাবরই দুর্বল ছিলাম। কিন্তু রং আমাকে সব সময় মুগ্ধ করত। জাহ্নবী যে শাড়িটা পরেছে, সেটাতে আমার ওই রঙের ভালবাসাই উজাড় হয়েছে। আর ওকেও দারুণ লাগছে শাড়িটা পরে।’’