কম বয়সে পাকা চুলের সমস্যা দূর করতেও লবঙ্গ দারুণ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত
ঠান্ডায় গলা খুসখুস থেকে দাঁতের ব্যথা। লবঙ্গ মুখে দিতেই উধাও হয়ে যায় ছোটখাটো হরেক রকমের সমস্যা। শরীরের যত্নই শুধু নয়, রান্নার স্বাদ বাড়াতে ফোড়ন হিসেবে হামেশাই লবঙ্গ ব্যবহার করেন অনেকে। তবে জানেন কি, এই সব কিছুর পাশাপাশি চুলের পরিচর্যাতেও লবঙ্গের জুড়ি মেলা ভার? শুধু জানা চাই ব্যবহারের পদ্ধতি।
কী ভাবে চুল ভাল রাখে লবঙ্গ?
চুল পড়ার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে! কেউ কেউ আবার সারা বছর ধরে খুশকির সমস্যায় ভোগেন। নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও সুফল মেলে না। চুলের এই সব সমস্যার দাওয়াই হতে পারে লবঙ্গ। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর লবঙ্গ চুলের গোড়া মজবুত করে। তা ছাড়া লবঙ্গে ভিটামিন কে থাকে। লবঙ্গের তেল মাথায় লাগালে রক্ত সঞ্চালনও বেড়ে যায়। ফলে সব মিলিয়ে চুলের বৃদ্ধি যেমন ভাল হয়, তেমনই কম বয়সে পাকা চুলের সমস্যা দূর করতেও লবঙ্গ দারুণ উপকারী।
কী ভাবে লবঙ্গ দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করবেন?
১. একটি পাত্রে চার কাপ জল গরম করে নিন।
২. গরম জলে দশটি লবঙ্গ দিয়ে দিন।
৩. কয়েকটি কারিপাতাও ফেলে দিতে পারেন।
৪. খানিক ক্ষণ ফুটিয়ে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন।
৫. জল ঠান্ডা হয়ে গেলে কাচের শিশিতে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
এই মিশ্রণে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল অর্থাৎ ছত্রাকনাশক এবং অ্যান্টি-সেপটিক অর্থাৎ সংক্রমণরোধী গুণ রয়েছে। ফলে এই মিশ্রণ মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যা কমে যেতে পারে। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন মাথায় মালিশ করলে মাথার ত্বকের শুষ্কতা কমে। লবঙ্গ ছাড়াও কারিপাতায় থাকে বিটা ক্যারোটিন, যা চুল ঝরা কমায়।
কেবল চুলের সমস্যা নয়, লবঙ্গ শরীরেরও যত্ন নেয় বিভিন্ন ভাবে। লবঙ্গে নাইজেরিসিন নামের একটি উপাদান থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এই উপাদানটি সহায়তা করে বলে মনে করেন অনেকে। সর্দিকাশি, সাইনাসের সমস্যায় লবঙ্গ-তেল মালিশের উপকারিতা অনেকেই জানেন। দাঁতের ব্যথা কমাতেও এটি খুব উপকারী। নিয়মিত লবঙ্গ ভেজানো জলে কুলকুচি করলে মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।