আসল চিকনকারি চিনবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজোর ফ্যাশন মানেই পোশাক হতে হবে আরামদায়ক। সারা দিন প্যাণ্ডেলে প্যাণ্ডেলে ঘোরাঘুরির জন্য হালকা আরামদায়ক পোশাকই শ্রেয়। এই পুজোয় ষষ্ঠীর সাজ হোক কিংবা অষ্টমীর লুক— চিকনকারি পোশাক রাখতেই পারেন আপনার পছন্দের তালিকায়।
লখনউ মানেই কেবল কবাব-বিরিয়ানির নয়, সেখানকার চিকনকারি নকশার খ্যাতিও বিশ্ব জুড়ে। ছবির প্রচারে হোক কিংবা ইনস্টাগ্রামের ফোটোশুট, ইদানীং বলিউডের নায়িকাদের ফ্যাশনেও চিকনকারির বাড়বাড়ন্ত। এই পুজোয় আপনিও কি চিকনকারির সালোয়ার, কুর্তি কিংবা শাড়ি কেনার কথা ভাবছেন? দাম দিয়ে কেনার আগে কী ভাবে যাচাই করবেন, পোশাকটিতে আদৌ আসল চিকনকারির কারুকাজ আছে কি না।
১) চিকনকারি হাতের কাজ খুব সূক্ষ হাতে করা হয়। যে কোনও পোশাকের উপরেই হাত দিয়ে নকশা তৈরির সময় সেই কাজ কখনও খুব নিখুঁত হয় না। পোশাকে সূক্ষ অথচ নিখুঁত কারুকাজ হলে বুঝতে হবে সেই চিকনকারি আসল নয়।
২) আসল চিকনকারির কাজ খুব হালকা, পাতলা কাপড়ের উপর করা হয়। মূলত শিফন, মসলিন, সিল্ক, চান্দেরি, তসর, জর্জেট আর সুতির কাপড়ের উপর চিকনকারির কাজ করা থাকে। খুব মোটা কোনও কাপড়ের উপর চিকনকারির কাজ হলে সেই চিকনকারি মোটেই হাতে করা হবে না।
৩) সাধারণত খুব বেশি চড়া রঙের কাপ়ড়ের উপর চিকনকারি কাজ করা হয় না। আগে কেবল সাদার উপরেই চিকনকারির নকশা করা হত। তবে পরবর্তীকালে প্যাস্টেল রঙের কাপড়ের উপরেও চিকনের কারুকাজ করা হয়। তাই চিকনকারি কেনার সময় হালকা রং বাছাই করাই শ্রেয়।
৪) চিকনেক কারুকাজ করতে অনেকটা সময় লাগে। তাই আসল চিকনের নকশা করা পোশাকের দামও বেশি হয়। এখন নিউ মার্কেট কিংবা গড়িয়াহাটে ঢুঁ মারলে আপনি ৫০০ টাকাতেও চিকনের কুর্তি পেয়ে যাবেন। তবে এত কম দামে আপনি কিন্তু মোটেই হাতে নকশা করা চিকনকারি পাবেন না।
৫) অপরিচিত কোনও দোকান কিংবা অনলাইন কোনও সাইট থেকে চিকনকারি না কেনাই ভাল। ওয়েবসাইট থেকে কেনার আগে রিভিউ দেখে তবেই কিনুন। আর হাতে দেখে কিনতে হলে পরিচিত কোনও দোকান থেকেই কেনা ভাল।