ছবি: সংগৃহীত।
বিভিন্ন সংস্থার অ্যালো ভেরা জেল দোকানে পাওয়া যায়। তবে ‘সেল্ফ লাইফ’ বৃদ্ধি করতে বা দীর্ঘ দিন অ্যালো ভেরার শাঁস ভাল রাখতে তার মধ্যে কিছু রাসায়নিক মেশানো থাকতেই পারে। গাছ থেকে সংগৃহীত অ্যালো ভেরা পাতার শাঁস দেখতে একেবারে স্বচ্ছ হলেও দোকানে যেগুলি কিনতে পাওয়া যায়, অধিকাংশেরই রং সবুজ। সেই সব জেল মুখে মাখার পর অনেকেরই ত্বকে অস্বস্তি হয়। জ্বালাও করতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকে র্যাশ বেরোনো অস্বাভাবিক নয়। তাই গাছের পাতা থেকে সরাসরি অ্যালো ভেরা শাঁস বার করে মুখে মাখেন। যার মধ্যে কোনও ভাবেই অশুদ্ধি বা রাসায়নিক থাকার কথা নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুখের অস্বস্তি হচ্ছে কেন? কোথাও কি তা হলে ভুল হয়ে যাচ্ছে?
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, অ্যালো ভেরা গাছের পাতা কাটার পর তা থেকে হলুদ রঙের তরল নির্গত হয়। ‘অ্যান্থ্রাকুইনান’ নামে পরিচিত ওই পদার্থটি আসলে এক ধরনের আঠা। এই পদার্থটি ত্বকে লাগলে নানা রকম সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তাই অ্যালো ভেরা গাছের পাতা কাটার সময় খুব সতর্ক থাকতে হয়।
পাতা থেকে অ্যালো ভেরার শাঁস বার করার পদ্ধতি:
১) প্রথমে অ্যালো ভেরা গাছ থেকে হৃষ্টপুষ্ট দেখে দুটি পাতা কেটে নিন।
২) খেয়াল করে দেখবেন, কেটে নেওয়া অংশ থেকে হলুদ রঙের এক ধরনের চটচটে তরল চুঁয়ে পড়ছে। ত্বকে অস্বস্তি হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে এই পদার্থটি।
৩) অ্যালো ভেরা পাতার সুচালো অংশটি উপরের দিকে এবং কাটা অংশটি নীচের দিক করে রেখে দিন বেশ কিছু ক্ষণ।
৪) খুব ভাল হয় যদি একটি পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে অ্যালো ভেরা গাছের পাতা কেটে ডুবিয়ে রাখতে পারেন। আধ ঘণ্টা রাখার পরেই দেখতে পাবেন পাত্রের জল হলদে বর্ণ ধারণ করেছে।
৫) এ বার ওই পাত্র থেকে পাতাটি তুলে আরও এক বার ভাল করে ধুয়ে নিন। অ্যালো ভেরা পাতার দু’ধারে কাঁটা থাকে। ছুরি দিয়ে তা কেটে নিতে হবে।
৬) তার পর মাঝখান থেকে আড়াআড়ি ভাবে পাতা কেটে নিয়ে চামচের সাহায্যে শাঁস বার করে নিতে হবে। খোসা যেন না থাকে।
৭) মিক্সি বা ব্লেন্ডারে সেই শাঁস ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এ বার সরাসরি মাথার ত্বকে, চুলে বা ত্বকে অ্যালো ভেরা মাখা যেতে পারে।