কোঁকড়া, সোজা চুলে কি একই কন্ডিশনার মাখা চলে? ছবি: ফ্রিপিক।
শ্যাম্পু করার পরে চুল রুক্ষ হয়ে যায়? সে জন্যই কন্ডিশনার ব্যবহারের দরকার হয় । চুল জটহীন, মসৃণ, নরম রাখতে সাহায্য করে কন্ডিশনার। চুলের আর্দ্রতাও ধরে রাখে এই প্রসাধনী। কিন্তু জানেন কি, চুলভেদে কন্ডিশনারও আলাদা হওয়া দরকার? শুষ্ক, তৈলাক্ত, সোজা, কোঁকড়ানো, ঢেউখেলানো— চুলভেদে তার পরিচর্যাও আলাদা হবে।
তবে তার আগে জেনে নেওয়া দরকার কন্ডিশনারে কোন ধরনের উপাদান থাকে।
প্রাকৃতিক তেল: অনেক কন্ডিশনারে নারকেল তেল, আর্গান অয়েল, জোজোবা অয়েলের মতো উপাদান থাকে।
প্রোটিন: চুলের অন্যতম উপাদান হল প্রোটিন। কেরাটিন ব্যবহার করেও কিছু কিছু কন্ডিশনার তৈরি হয়। চুল ঝরা আটকাতে এই ধরনের কন্ডিশনার কার্যকর।
অ্যালো ভেরা: ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর অ্যালো ভেরা চুলের জন্য খুব উপকারী। কোনও কন্ডিশনারে এই উপাদানটিও ব্যবহার করা হয়।
এ ছাড়াও, ভিটামিন, গ্লিসারিন, শিয়া বাটার-যুক্ত কন্ডিশনার পাওয়া যায়।
কোন চুলে কোন কন্ডিশনার?
কোঁকড়ানো চুল: কোঁকড়ানো চুল সাধারণত ফুলেফেঁপে থাকে। এই ধরনের চুল বশে আনতে সঠিক কন্ডিশনার বাছাই জরুরি। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, কোঁকড়া চুলের জন্য ভাল হল ‘লিভ-ইন কন্ডিশনার।’ এই ধরনের কন্ডিশনার মাখার পর ধুয়ে ফেলার প্রয়োজন পড়ে না। জটমুক্ত চুলের জন্য এই ধরনের কন্ডিশনার বেশ কাজের। একই সঙ্গে দেখতে হবে কন্ডিশনারে জোজোবা অয়েল, কোকোনাট অয়েল বা শিয়া বাটারের মতো উপাদান আছে কি না।
সোজা চুল: মসৃণ সোজা চুলে তেলযুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল আরও পাতলা মনে হবে। ফলে এমন কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে যাতে চুল একটু ফুলেফেঁপে থাকে। ভিটামিন বা প্রোটিন সমৃদ্ধ কন্ডিশনার এ জন্য বেছে নিতে পারেন।
ঢেউখেলানো চুল: এই ধরনের চুলের জন্য অ্যালো ভেরা এবং প্রাকৃতিক তেল সমৃদ্ধ কন্ডিশনার উপযোগী। আর্গান অয়েল, জোজাবা অয়েল রয়েছে এমন কন্ডিশনার বেছে নিতে পারেন।