গ্লিসারিন চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
শীতকালের রুক্ষ শুষ্ক ত্বককে কোমল ও মসৃণ করতে গ্লিসারিনের জুড়ি মেলা ভার। গ্লিসারিন ত্বককে আর্দ্র ও প্রাণববন্ত রাখে। তবে জানেন কী শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি গ্লিসারিন চুলেরও খেয়াল রাখে। চুলের জট ছাড়াতে যে সব প্রসাধনী বাজারে ব্যবহৃত হয় সেগুলির মধ্যে ডিট্যাঙ্গলিং লিক্যুইড নামক একটি উপাদান থাকে। যার প্রধান উপাদান হিসাবে থাকে গ্লিসারিন। সুতরাং চুল নরম ও উজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি চুলের নানা শীতকালীন সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকরী গ্লিসারিন।
কন্ডিশনার হিসাবে
শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। গ্লিসারিন চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শ্যাম্পু করার পর বাজার চলতি কন্ডিশনারের পরিবর্তে চুলে লাগাতে পারেন কন্ডিশনার। লিভ-ইন কন্ডিশনার হিসাবেও ভাল কাজ করে গ্লিসারিন। চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারবেন চুল কতটা নরম হয়ে গিয়েছে।
চুলের স্প্রে হিসাবে
সম পরিমাণে জল এবং গ্লিসারিন এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। হঠাৎ করেই চুল অত্যধিক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়লে জল ও গ্লিসারিনের মিশ্রণটি স্প্রে করে নিতে পারেন।
চুলের আগা ফাটার সমস্যায়
শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণেই চুলের আগা ফাটার সমস্যা প্রবল হয়। এই সমস্যা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন। অল্প গ্লিসারিন হাতে নিয়ে ভেজা চুলের ডগাতে লাগাতে পারেন। এতে চুলের গো়ড়া শুকিয়ে গেলেও চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
খুশকির সমস্যায়
বছরের অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীতকালে খুশকির সমস্যা প্রবল হয়। খুশকি প্রতিরোধে অস্ত্র হতে পারে গ্লিসারিন। অল্প পরিমাণে গ্লিসারিন হাতে নিয়ে হালকা হাতে মাথার ত্বকে মাসাজ করে নিন। জোরে জোরে ঘষবেন না। কারণ গ্লিসারিন চুলের গোড়া নরম করে দেয়। ফলে চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে।