রান্নাঘরে হাতের নাগালেই রয়েছে দাগ হালকা করার চার উপাদান। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হয় সাধারণত বয়ঃস্বন্ধির সময়। হঠাৎ ওজন বা পেশির আয়তন বাড়লে পুরুষ এবং নারী, উভয়েরই শরীরে বাঘের গায়ের ডোরার মতো দেখতে স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হতে পারে। আবার মহিলাদের ক্ষেত্রে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরও পেটে দেখা যায় স্ট্রেচ মার্ক। ত্বকের উপর ঢেউ খেলানো সেই সব স্ট্রেচ মার্ক পোশাকের আড়ালে থাকলে আলাদা কথা। কিন্তু পোশাকের বাইরে দেখা গেলেই তৈরি হয় অস্বস্তি।
এমনিতে লেজ়ার থেরাপির মাধ্যমে স্ট্রেচ মার্ক থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। তবে পরিস্থিতির সাপেক্ষে লেজ়ার থেরাপি ত্বকের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। অন্য দিকে, ঘরোয়া উপায়ে যদি দাগ হালকা করার উপায় থাকে, তবে তা যেমন পকেট বাঁচাবে, তেমনই তা নিরাপদও হবে। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, রান্নাঘরে হাতের নাগালেই রয়েছে দাগ হালকা করার উপাদান।
১। চিনি: প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক থেকে মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে চিনি। তা ছাড়া রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক, ব্রণর দাগ ছোপ, কাটা দাগ সারাতে যে মাইক্রোডার্মাব্রেসন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তাতেও চিনির ব্যবহার হয়। ত্বককে উজ্জ্বল এবং দাগহীন করতে হলে খানিকটা চিনি গুঁড়ো করে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন এবং তার পরে স্ট্রেচ মার্কের উপর লাগিয়ে ধীরে ধীরে স্ক্রাব করুন
২। নারকেল তেল ও কাঠবাদাম তেল: নারকেল তেল বা কাঠবাদামের তেল হল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার। যা ত্বকের অতি গভীরে পৌঁছে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। নারকেল তেল এবং কাঠবাদামের তেল বা আমন্ড অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে স্ট্রেচ মার্কের উপরে লাগালে দাগ হালকা হবে। নতুন স্ট্রেচমার্ক পুরোপুরি দূর করে দিতে পারে ওই তেলের মিশ্রণ।
৩। লেবুর রস ও শসার রস: লেবুর রসে আছে ভিটামিন সি এবং সক্রিয় অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক উজ্জ্বল করতে পারে লেবুর রস। শসার রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করুন। স্ট্রেচ মার্ক বিদায় নেবে।
৪। ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন আর অ্যামিনো অ্যাসিড। দু’টি উপাদানই ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। আবার ত্বককে টানটান রাখতেও সাহায্য করে এগুলি। অনেক সময় বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চোখের নীচের ত্বক বা নাকের দু’পাশের ত্বক বসে যায়। ডিমের সাদা অংশ সেই সব জায়গায় জেল্লা ফিরিয়ে আনতে পারে। স্ট্রেচমার্ক দূর করতে হলে প্রথমে দু’টি ডিমের সাদা অংশকে ভাল ভাবে ফেটান। তাতে যে ফেনা তৈরি হবে, সেটি নিয়ে স্ট্রেচমার্কের উপরে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে সাবধানে তুলে ফেলুন। শেষে তেল বা ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন। কয়েক দিনের মধ্যেই তফাৎ বুঝতে পারবেন।