ছবি: প্রতীকী
মেকআপ তুলতে বা বাড়ির বাইরে মুখ পরিষ্কার করতে মেকআপ ওয়াইপ্স ব্যবহার করেন অনেকেই। ত্বকের ধরন অনুযায়ী মেকআপ তোলার বা ক্রিমের নানা বিকল্প পাওয়া যায়। কিন্তু ওয়াইপসের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও বিকল্প থাকে না। আবার গায়ের জন্য কেনা স্ক্রাব, স্নান করতে গিয়ে মুখেও মেখে ফেলেন অনেকে। অথচ গায়ের সঙ্গে মুখের ত্বকের ধরনে বিস্তর ফারাক রয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক ভানিতা রত্তন বলছেন, “মুখের যত্ন নিতে গিয়ে নিজেদের অজান্তে প্রতি দিন মুখে যা যা ব্যবহার করছেন, তা আসলে ত্বকের ক্ষতি করছে। দোকানে যা কিনতে পাওয়া যায়, সব কিছু সবাই ব্যবহার করতে পারেন না।”
কোন কোন প্রসাধন সামগ্রী থেকে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে?
১) ভিজে ওয়াইপ্স
মুখ থেকে মেকআপ তুলতে ভিজে ওয়াইপ্স ব্যবহার করেন অনেকেই। চিকিৎসক ভানিতা রত্তন বলছেন, “অতিরিক্ত স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এই ওয়াইপ্স যথেষ্ট ক্ষতিকর। সঙ্গে ক্লিনজ়ার থাকলেও তা মেকআপ তুলতে গেলে ত্বকের উপর ওয়াইপ্স ঘষতে হয়। চোখে দেখা না গেলেও ত্বকের উপর সূক্ষ্ম আঁচড় পড়ে যেতে পারে।”
২) ওয়ালনাট স্ক্রাব
রাসায়নিক দেওয়া স্ক্রাব ব্যবহার না করে অনেকেই আখরোটের খোসা গুঁড়ো দিয়ে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করেন। শুষ্ক ত্বকের যত্নে এই ধরনের স্ক্রাব যথেষ্ট ভাল। তবে ভানিতা বলছেন, “ত্বকে মৃত কোষের সমস্যা থাকলে এই ধরনের স্ক্রাব খুব ভাল কাজ করে। তবে স্পর্শকাতর ত্বকে এই ধরনের স্ক্রাব একেবারেই ব্যবহার করা চলে না।”
৩) অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
ব্রণের পর মুখে থেকে যাওয়া দাগ, বয়সজনিত দাগ ছোপ দূর করতে অনেকেই ওই নির্দিষ্ট জায়গায় অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করে থাকেন। ভানিতা বলছেন, “কিছু ক্ষেত্রে আঁচিল তুলতেও ব্যবহার করা হয় অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। কিন্তু ত্বকের জন্য এই অ্যাসিডটি মোটেও ভাল নয়। ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এই অ্যাসিডের অতিরিক্ত ব্যবহারে। এমনকি, দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করলে ত্বক পুড়েও যেতে পারে।”
৪) বেকিং সোডা
বেকিং সোডা আসলে ক্ষারজাতীয় একটি পদার্থ। যা ব্যবহার করলে ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ করাও সহজ হয়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যা থেকে পরবর্তীকালে ত্বকে প্রদাহ হতে পারে।
৫) নারকেল তেল
মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে অনেকেই নারকেল তেল ব্যবহার করেন। তবে মুখে ব্রণের সমস্যা থাকলে এই তেল ব্যবহার করা যায় না। ভানিতা বলছেন, “তৈলাক্ত ত্বকে এমনিতেই তেলের পরিমাণ বেশি। তার উপর যদি কেউ বেশি ঘনত্বের নারকেল তেল মুখে মাখেন, তা হলে মুখের রন্ধ্র বুজে গিয়ে ব্রণের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।”