Skincare Mistakes

বর্ষাকালে ত্বকের সমস্যা বেড়েই চলেছে, বৃষ্টির জল না কি রোজের অভ্যাস, নেপথ্যে কী?

আবহাওয়ার খামখেয়ালি ভাবের প্রভাব পড়ে ত্বক এবং চুলের উপর। যার জন্য এ সময়ে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। ত্বক অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩ ১৮:৩২
Image of woman

ছবি: প্রতীকী

গরমে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব থেকে মুক্তি দিলেও বর্ষায় কিন্তু ত্বকের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণ ত্বক হঠাৎ অতিরিক্ত তেলতেলে হয়ে পড়ে। গোটা মুখ ব্রণতে ভরে যেতে পারে। আবার তৈলাক্ত ত্বকের কোনও কোনও অংশ থেকে হঠাৎই খোসা উঠতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বলছেন, আবহাওয়ার খামখেয়ালি মনোভাবের প্রভাব পড়ে ত্বক এবং চুলের উপর। যার জন্য এ সময়ে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। ত্বকে অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। মুখের খুঁত ঢাকার জন্য অনেকেই মেকআপ প্রসাধনীর ব্যবহার বাড়িয়ে দেন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রূপ বিশেষজ্ঞ ব্লসম কোচার বলেন, “অতিরিক্ত ঘাম মুখের তৈলাক্ত ভাব বাড়িয়ে তোলে। তাই এ সময়ে ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করার দিকে নজর দিতে হবে। ত্বকের স্বাভাবিক তেল বা সেবামের মাত্রা ঠিক রাখতে মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে দিনে অন্তত দু’বার মুখ ধোয়া জরুরি।” এ ছাড়াও প্রতি দিনের এমন কিছু অভ্যাস শুধু মুখ নয় গোটা ত্বকের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার জন্যে দায়ী।

Advertisement

১) সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা

শুধু গ্রীষ্মে নয়, বর্ষাকালেও সানস্ক্রিন সমান জরুরি। ব্লসমের মতে, “মেঘের আড়ালে থেকেও সূর্যের ইউভি রশ্মি ত্বকের যথেষ্ট ক্ষতি করে। তাই মেঘ করে আছে বলে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার কোনও মানেই হয় না।”

২) অতিরিক্ত মেকআপ করা

এই সময়ে খুব বেশি মেকআপ প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল। যদিও এখন ‘নো মেকআপ লুক’-এর চল, তবু যদি প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে ‘ওয়াটার বেস্‌ড’ প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। খুব ঘনত্বযুক্ত প্রসাধনী কিন্তু ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্র বন্ধ করে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৩) ময়েশ্চারাইজ়ার না মাখা

এ সময়ে মুখ এত তেলতেলে হয়ে যায় যে, কোনও ক্রিম না মাখলেও ত্বকে টান পড়ে না। তাই অনেকেই এ সময়ে আলাদা করে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে পছন্দ করেন না। তবে ব্লসম বলছেন, “আবহাওয়ার আপেক্ষিক আর্দ্রতার জন্যে মুখের চামড়া চড়চ়ড় না করার মানে কিন্তু এমন নয় যে তা যথেষ্ট পরিমাণ আর্দ্র। ত্বক যদি খুব বেশি তৈলাক্ত হয়, তা হলে অয়েল ফ্রি বা হায়ালুরনিক অ্যাসিড দেওয়া ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে পারেন।”

৪) পর্যাপ্ত জল না খাওয়া

এ সময়ে জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন অনেকে। যার ফলে ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায়। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলেও জল খাওয়ার পরিমাণ কমানো যাবে না। প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল ত্বকে আর্দ্রতার অভাব ঘটবে না।

৫) পায়ের যত্ন না নেওয়া

বর্ষাকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি পায়েরও যত্ন নিতে হবে। বর্ষার নোংরা জল এবং অতিরিক্ত ঘাম থেকে পায়ে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ হয়। ভেজা জুতো পরেও অনেক সময়ে পায়ে সংক্রমণ হতে পারে। তাই নিয়মিত উষ্ণ জলে পা ধোয়া এবং পা শুকনো রাখা জরুরি।

আরও পড়ুন
Advertisement