‘হেয়ার আইডেন্টিফায়ার স্প্রে’ কী, কী ভাবে তা ব্যবহার করে? গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন
সমাজমাধ্যমে খোঁজাখুজি করলেই দেখা যাচ্ছে একাধিক ভিডিয়ো। বোতল থেকে বিশেষ স্প্রে করে নেওয়া হচ্ছে মুখে। সেটি দেওয়ার পর মুখ দেখলে মনে হবে, কেউ যেন ময়দা লেপে দিয়েছে। তার পর ‘ডার্মাপ্লেন’ বা মুখের রোম তোলার বিশেষ ধরনের রেজ়ার দিয়ে খুব সহজেই অবাঞ্ছিত লোম তুলে ফেলা হচ্ছে। সম্প্রতি এমনই স্প্রে নিয়ে সমাজমাধ্যমে চর্চা। একেই বলা হচ্ছে ‘হেয়ার আইডেন্টিফায়ার স্প্রে।’ গত কয়েক মাসে কার্যত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই স্প্রে। কিন্তু তা নিয়ে কেন এত হইচই?
হেয়ার আইডেন্টি ফায়ার স্প্রে-র কী?
এই স্প্রে-র কাজ হল মুখমণ্ডলের অতি সূক্ষ্ম রোমকেও স্পষ্ট এবং দৃশ্যমান করে তোলা। মুখের রোম তোলার জন্য কেউ যেমন ওয়্যাক্সিং করেন, কেউ আবার থ্রেডিং করান। তবে দু’টি পদ্ধতি কিছুটা যন্ত্রণাদায়ক। সেই জায়গায় ডার্মাপ্লেনের ব্যবহারে অতি সহজে মুখের রোম তোলা যায় জ্বালাযন্ত্রণা ছাড়াই। ডার্মাপ্লেন কিছুটা রেজ়ারের মতোই। তবে সমস্যা দেখা দেয় তখনই, যখন সূক্ষ্ম রোম দৃষ্টিগোচর হয় না। এই কাজটি করে দেয় হেয়ার আইডেন্টি ফায়ার স্প্রে।
কতটা কার্যকর এই স্প্রে?
১. এই স্প্রে ব্যবহারে রোম স্পষ্টত দৃশ্যমান হওয়ায় শেভিং করা খুব সহজ হয়। অবাঞ্ছিত রোম না থাকায় মুখ দেখায় সুন্দর, মসৃণ এবং একই সঙ্গে উজ্জ্বলও।
২. রোম পরিষ্কার করা থাকলে মেকআপ মুখে ভাল বসে। অনেকে বলেন, এতে সিরাম, ময়েশ্চারাইজ়ার সহজে ত্বকের গভীরে যেতে পারে।
৩. এতে সময়ও বাঁচে। রোম তোলা সহজ হয়ে যায়। বার বার একই জায়গার ডার্মাপ্লেন ব্যবহার করতে হয় না।
কেন হইচই?
সমাজমাধ্যমে সৌন্দর্য নিয়ে চর্চাকারীরা এই স্প্রে-র উপযোগিতা দেখাতে শুরু করেন। নানা রকম ভিডিয়ো আসতে থাকায় এ নিয়ে চর্চাও বাড়ে।
সাবধানতাও কী দরকার?
কেউ কেউ বলেন, এই স্প্রে মুখে দিলে হাঁচি, কাশি হয়। পুণের ত্বকের চিকিৎসক রশ্মি আদেরাও বলছেন, ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার না করা হলে এই স্প্রে ব্যবহারে ক্ষতি কিছু নেই। তবে স্পর্শকাতর ত্বক হলে অ্যালার্জি বা তা অতি শুষ্ক হয়ে পড়ার মতো কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।