Sustainable Fashion

বোনের বাগ্‌দানে পুরনো সালোয়ারে হাজির অনন্যা! কেন একই পোশাক বার বার পরছেন নায়িকারা?

পুরনো পোশাককেই আবার নতুন মোড়কে পরার চলও ইদানীং বেড়েছে। সবটাই হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের প্রতি ফ্যাশনিস্তাদের ঝোঁক বাড়ছে বলে। আলিয়া ভট্ট, সারা আলি খান ও সোনাক্ষি সিন্‌হার পর এ বার সেই পথেই হাঁটলেন অনন্যা পাণ্ডেও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১২:২৭
অনন্যা পাণ্ডে।

অনন্যা পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত।

দূষণ যত বাড়ছে, ততই চল বাড়ছে পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্রের। পিছিয়ে নেই ফ্যাশন জগৎও। তাই শাড়ি, সালোয়ার, লেহঙ্গা, শার্ট, পাঞ্জাবি—রকমারি পোশাক তৈরির ক্ষেত্রেই ইদানীং পোশাকশিল্পীরা পরিবেশবান্ধব বিষয়টির কথা মাথায় রেখেই কাজ করতে চাইছেন। কাপড়ের উপাদান থেকে শুরু করে রং, সমস্তটাই প্রকৃতি থেকে তৈরি হলে তাকেই পরিবেশবান্ধব পোশাক বলে। এই ধরনের পোশাক কাচলেও সেই জলে থাকে না কোনও ক্ষতিকর রাসায়নিক। সেই জল পরিবেশ দূষণ বাড়ায় না। পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ভাল এই ধরনের পোশাক। পুরনো পোশাককেই আবার নতুন মোড়কে পরার চলও ইদানীং বেড়েছে। সবটাই হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের প্রতি ফ্যাশনিস্তাদের ঝোঁক বাড়ছে বলে। আলিয়া ভট্ট, সারা আলি খান ও সোনাক্ষি সিন্‌হার পর এ বার সেই পথেই হাঁটলেন অনন্যা পাণ্ডেও।

Advertisement

সম্প্রতি বোনের বাগ্‌দান অনুষ্ঠানে সাবেকি পোশাকে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন অনন্যা। লেহঙ্গা কিংবা গাউন নয়, অনন্যার পরনে ছিল নীল রঙের সালোয়ার-কামিজ। তবে এই সালোয়ার-কামিজটি প্রায় ২১ বছরর পুরনো। বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে নতুন নয়, পুরনো পোশাকেই সেজেছিলেন অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি ভাগ করে অনন্যা জানিয়েছেন তাঁর পরনের পোশাকটি ২১ বছর আগে তাঁর মা ভাবনা পাণ্ডের জন্য নকশা করেছিলেন পোশাকশিল্পী রোহিত বল।

পোশাকটি পুরনো হলেও অনন্যা যে ভাবে সালোয়ারটি পরেছিলেন, তাতে তা বোঝার উপায় নেই। পোশাকের নকশাতেও ছিল যথেষ্ট আধুনিকতার ছোঁয়া। হল্টার নেক কুর্তার গা জুড়ে ছিল সোনালি চুমকির কারুকাজ।

আলিয়াকে মাঝেমধ্যেই নিজের পুরনো পোশাক পরতে দেখা যায়। বলিউড তারকা প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকেও দেখা গিয়েছে পুরনো বেনারসি দিয়ে বানানো ড্রেস পরতে। সম্প্রতি অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিন্‌হাও তাঁর বিয়েতে মায়ের পুরনো শাড়ি পরেছিলেন। সুতরাং বলিউডে যে ধীরে ধীরে পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের দাপট বাড়ছে, সে কথা অস্বীকার করার আর উপায় নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন