৫০ ক্যারাট হিরের ব্রোচ পরেছেন অনন্ত অম্বানী। ছবি: সংগৃহীত।
ব্রোচে হলুদ হিরের দ্যুতি। সারি সারি হলুদ হিরে বসিয়ে তৈরি হয়েছে সিংহের অবয়ব। ঠিক যেন বিশ্রামরত পশুরাজ। তার দুই চোখে বহুমূল্য পান্না বসানো। মুখ থেকে ঝুলছে বিশাল হীরকখণ্ড। এমন ব্রোচ ভারতে আর কারও নেই। একমাত্র রয়েছে ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর ছোট ছেলে অনন্তের সংগ্রহে। প্রাক্-বিবাহ পর্বে অনন্তর সাজে এই ব্রোচই সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল।
অনন্ত অম্বানীর প্রায় প্রতি পোশাকের উপরেই ব্রোচ শোভা পায়। রাধিকার সঙ্গে বাগ্দানের দিন ভাই আকাশ অম্বানীর দেওয়া একটি ব্রোচ পরেছিলেন অনন্ত, যা তৈরি হয়েছিল ১৯১৪ সালে। প্যান্থারের মুখের আদলে তৈরি ব্রোচটিতে বহুমূল্য হিরে, জহরত বসানো ছিল। সেটির দামই ছিল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা। জামনগরে প্রাক্-বিবাহ পর্বেও মুকেশ-পুত্র তাঁর জমকালো শেরওয়ানির উপরে পরেছিলেন হলুদ হিরের তৈরি ‘লায়ন ব্রোচ’। এই ব্রোচ তৈরি করেছেন বিশ্বখ্যাত মার্কিন জহুরি লরেন শোয়ার্টজ়। গোটা ব্রোচটিই তৈরি হয়েছে হলুদ রঙের হিরে দিয়ে। লরেন জানিয়েছেন, অনন্ত অম্বানীর পশুপ্রেমের কথা মাথায় রেখেই সিংহের আদলে ব্রোচটি তৈরি করা হয়েছে। সিংহের দুই চোখে তিনি বসিয়ে দিয়েছেন দামি পান্না। সিংহের মুখ থেকে ঝুলছে বিশাল একটি হিরে। ব্রোচটি প্রায় ৫০ ক্যারাট হিরে দিয়ে তৈরি।
২০০৯ সালে অস্কার মঞ্চে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এক জোড়া পান্নার দুল পরেছিলেন মনে আছে? সেই দুল জোড়া বিশ্বের অন্যতম দামি পান্না দিয়ে তৈরি করেছিলেন লরেন শোয়ার্টজ়। যার দাম ছিল ২৫ কোটি মার্কিন ডলার। হ্যালি বেরি, বিয়ন্সে, জেনিফার লোপেজ়ের মতো হলিউডের নায়িকাদের জন্য গয়না ডিজাইন করেন লরেন। তাঁর হাতের কাজের কদর গোটা বিশ্বেই। অনন্ত অম্বানীর জন্য সিংহ-ব্রোচ তৈরি করতে লরেন কত পারিশ্রমিক নিয়েছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। লরেনের কথায়, “হলুদ হিরের সিংহ-ব্রোচটি একেবারেই ব্যতিক্রমী। এমন আর আগে তৈরি হয়নি। প্রতিটি হিরে নিখুঁত ভাবে কাটা। একটির পর একটি বসিয়ে নকশা বোনা হয়েছে। অনন্ত পশুপ্রেমী। পশু সংরক্ষণ ও তাদের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে ‘বনতারা’ উদ্যোগ চালু করেছেন অনন্ত। পশুদের প্রতি তাঁর এই ভালবাসার কথা মাথায় রেখেই ব্রোচটি সিংহের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এমন একটি অলঙ্কার তৈরি করতে পেরে আমি আপ্লুত। ”