অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
মরুশহরকে টেক্কা দিচ্ছে কলকাতার তাপমাত্রা। চাঁদিফাটা রোদ, ভ্যাপসা গরম, সঙ্গে তাপপ্রবাহ। সব মিলিয়ে বিচ্ছিরি রকমের আবহাওয়া। তবে গরম যতই হোক, অনুষ্ঠানে কোনও কাটছাঁট নেই। বৈশাখ পড়তেই লেগেছে বিয়ের ধুম। এ ছাড়া জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, ঘরোয়া পার্টি তো আছেই। গরমে শরীর খারাপ হবে বলে সব অনুষ্ঠান থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা যায় না। সেজেগুজে গলদঘর্ম হলেও সেখানে যেতে হয়। অনুষ্ঠান বুঝে শাড়ি তো বেছে নেওয়াই যায়। কিন্তু তার সঙ্গে মানিয়ে কোন গয়না পরবেন, তা বুঝতে পারেন না অনেকে। এই গরমে কী ধরনের শাড়ির সঙ্গে কেমন গয়না পরলে ফুরফুরে দেখাবে, তার হদিস রইল এখানে।
সুতি, লিনেন শাড়ি
গরমে দুপুরে কোনও অনুষ্ঠান থাকলে হালকা সুতির ব্লক প্রিন্ট কিংবা লিনেন শাড়ি পরা যেতেই পারে। শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়নাও চাই। এই ধরনের শাড়ি খুব একটা ভারী হয় না। তাই চাইলে এই ধরনের শাড়ির সঙ্গে রুপোর গয়না পরতে পারেন। তার সঙ্গে মানানসই চুড়ি, কানের দুলও থাকা চাই। রুপোর বদলে অক্সিডাইজ়ড গয়নাও পরা যায়। টেরাকোটা একটু ভারী হয়, যদি সেই ভার বইতে পারেন তা হলে তা-ও চলতে পারে।
সিল্ক শাড়ি
গরম পড়েছে। তাই বলে অনুষ্ঠান তো বন্ধ নেই! বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বিয়েতে একটু ভারী শাড়ি পরতেই হয়। সঙ্গে তেমন গয়নাও চাই। তবে, এই গরমে ভারী শাড়ি, গয়না, খোলা চুল— একসঙ্গে সব সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই সিল্ক, বেনারসি কিংবা কাঁথা স্টিচের শাড়ির সঙ্গে আবার রুপোলি গয়না মানায় না। হালকা মুক্তো কিংবা সোনার গয়না চলতেই পারে। চাইলে পাথর বসানো ‘গোল্ড-প্লেটিং’ করা গয়নাও পরতে পারেন। তবে গরমে খুব ভারী কিছু পরতে যাবেন না। কানে বড় ঝুমকো পরলেও দেখতে ভাল লাগবে।
জর্জেট, শিফন, অরগ্যানজ়া কিংবা ডিজ়াইনার শাড়ি
জন্মদিন, বন্ধুর বিবাহবার্ষিকী কিংবা বাড়ির ঘরোয়া পার্টিতে জর্জেট, শিফন, ক্রেপ কিংবা হালকা ডিজ়াইনার শাড়ি পরার কথা ভেবেছেন। কিন্তু এই ধরনের শাড়ির সঙ্গে কেমন গয়না মানাবে, তা বুঝতে পারছেন না। গরমে ফুরফুরে থাকতে জর্জেট, শিফন কিংবা ক্রেপের সঙ্গে মুক্তোর ছোট হুপ দুল, গলায় ছোট লকেট দেওয়া চেন এবং হাতে সরু কয়েকটা চুড়ি পরলেও দেখতে ভাল লাগবে। গরমে খুব কষ্ট না হলে গলার সঙ্গে আঁটসাঁট মুক্তোর চোকারও পরতে পারেন। কমবয়সিদের মধ্যে ইদানীং রেজ়িনের গয়না পরার চল হয়েছে। জর্জেট কিংবা শিফনের শাড়ির সঙ্গে সেগুলিও ভাল লাগে।