ছবি: জোয়ান ইটস ওয়েল উইথ আদারস।
চেনা খাবার তো রোজই খাওয়া হয়। সত্যি বলতে, সংসার যাঁরা গুছিয়ে রাখেন, তাঁদের অনেকেরই দিনরাত পরিশ্রমের পরে আর রান্নাঘরে বিশেষ পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ইচ্ছে বা শক্তি থাকে না। কিন্তু কোনও রান্না যদি হয় সহজ অথচ অন্যরকম এবং সুস্বাদু, তাহলে?
ডাল বেগুন তেমনই এক রান্না। খুব অল্প উপকরণ দিয়ে চটজলদি হয়ে যায়। আর স্বাদও বেশ অন্যরকম। টক-ঝাল-মিষ্টি। বাঙালি রান্নায় সচরাচর এমন স্বাদের বিষ্ফোরণ থাকে জলখাবার জাতীয় খাবারে। এই রান্নাটি অবশ্য ভাতে এবং রুটির সঙ্গে খাওয়ার।
বাঙালির কাছে বিউলির ডাল মানেই তার সঙ্গতে মনে আসে আলু পোস্তর কথা। হিং আর মৌরি ফোড়ন দিয়ে রান্না করা কলাইয়ের ডালের সুগন্ধই হয় আলাদা। ভাতে মেখে তার সঙ্গে আলু পোস্ত মুখে দিলে মনে হয় ‘অমৃত’। বিউলির এই রান্নাটিরও একটি বিশেষ গন্ধ আছে। এ রান্নায় রাজত্ব করে হিং আর মেথি ফোড়নের গন্ধ। সঙ্গে থাকে তেঁতুলের টক, কাঁচালঙ্কার ঝাল। সেই স্বাদ আর গন্ধও মন কাড়া।
গরমে পেট ঠান্ডা রাখার জন্য টক খাবার কথা বলা হয়। এই হালকা আর পুষ্টিকর রান্নাটি শরীরকে ঠান্ডা রাখবে। জোগাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
কী ভাবে বানাবেন?
ছবি: মধু’জ় এভরিডে ইন্ডিয়ান।
উপকরণ:
১টি বড় বেগুন
১ কাপ বিউলির ডাল (জলে ভিজিয়ে রাখা)
২-৩টি কাঁচালঙ্কা
১/২ কাপ তেঁতুলের জল
১/২ চা-চামচ হিং
১ চা-চামচ মেথি
১ চা-চামচ ধনেগুঁড়ো
১ চা-চামচ জিরেগুঁড়ো
১ চা-চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
স্বাদ মতো নুন
সামান্য চিনি
প্রণালী:
বেগুন বড় বড় টুকরোয় কোটে নিন। ১ টি বড় বেগুন থেকে ১৪-১৬টি টুকরো হওয়ার কথা। কড়াইয়ে তেল দিয়ে বেগুনের টুকরোগুলো সোনালি করে ভেজে তুলুন। বেগুন ভাজতে ভাজতেই মিক্সিতে বেটে নিন ভিজিয়ে রাখা বিউলির ডাল। সামান্য জল আর আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে এক সঙ্গে বেটে নিন।
এ বার কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে দিন হিং, মেথি, জিরে, ধনে, লঙ্কারগুঁড়ো এবং সামান্য জল। মশলা কষিয়ে ভেজে তেল ছেড়ে এলে ওর মধ্যে দিয়ে দিন বেটে রাখা বিউলির ডাল। ভাল করে ভেজে কড়াইয়ে শুকিয়ে গায়ে লেগে যাওয়া পর্যন্ত ভাজুন। গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে এলে ওর মধ্যে দিয়ে দিন, তেঁতুল গোলা জল, স্বাদমতো নুন এবং সামান্য চিনি। দরকার হলে জল দিন।
ডাল ফুটলে তাতে ভেজে রাখা বেগুন দিয়ে মাখা মাখা অবস্থায় নামিয়ে নিন। এই রান্নাটি শুকনো ভাত বা রুটির সঙ্গেও পরিবেশন করা যায়।