প্রতীকী চিত্র।
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অসন্তুষ্ট গ্রাহকরা। সেই কারণে ব্যবহারকারীদের ২৯ শতাংশই এই অ্যাপের পরিষেবা ছেড়ে দিতে চাইছেন। আপাতত হোয়াটসঅ্যাপ নতুন নিরাপত্তা বিধি কার্যকর করা পিছিয়ে দিয়েছে। কিন্তু অসন্তুষ্ট ব্যবহারকারীদের বক্তব্য, যে মুহূর্তে সংস্থা নতুন নিরাপত্তা বিধি কার্যকর করবে, সেই মুহূর্তে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবেন। যদিও, ৭১ শতাংশ ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও স্পষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। আরও একটু সময় নিতে চান। গুরুগ্রামের বেসরকারি সংস্থা সাইবার মিডিয়া রিসার্চের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
সমীক্ষায় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। দেখা গিয়েছে, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সিদ্ধান্তে ৪৯ শতাংশ মানুষ রেগে গিয়েছে। ৪৫ শতাংশ মানুষ আর হোয়াটসঅ্যাপকে বিশ্বাস করতে চান না। ৩৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁদের বিশ্বাস ভেঙেছে সংস্থা। মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ এই নিয়ে কিছু বলতে চাননি।
ইন্ডাস্ট্রি কনসাল্টিং গ্রুপ (আইসিজি)-এর প্রধান সত্য মোহান্তি নয়াদিল্লির এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘সাধারণ মানুষ সহজে মেসেজে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপের উপরেই ভরসা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান বিতর্ক সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটা অসন্তোষ তৈরি করেছে। ফলে অনেকেই নতুন কোনও মাধ্যম ব্যবহারের কথা ভাবছেন। পরিবর্ত হিসাবে উঠে আসছে টেলিগ্রাম ও সিগন্যালের মতো অ্যাপ। মুখে মুখেই এই বিষয়ে প্রচার হয়ে যাচ্ছে নিয়মিত।’’
সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, সিগন্যাল নয়, টেলিগ্রাম অ্যাপের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ। একদিকে ৪১ শতাংশ মানুষ টেলিগ্রাম অ্যাপটি পছন্দের তালিকার প্রথমে রেখেছেন, অন্যদিকে সিগন্যাল অ্যাপ রয়েছে ৩৫ শতাংশের পছন্দের তালিকায়।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিষয়টি একদিনে ঘটেনি। তাঁদের মতে, টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছিল। সিগন্যালের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী বৃদ্ধির হারটা হয়তো হঠাৎ বেড়েছে, কিন্তু এটিও অনেক দিন ধরে নিজের স্থান তৈরি করে চলেছে। ফলে এই পরিবর্তন স্থায়ী হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।