Robbery Case

স্বামীর পাঠানো ১০ লক্ষ টাকা উড়িয়ে ডাকাতির গল্প ফাঁদলেন যুবতী! সঙ্গ দিলেন এক প্রতিবেশী

ডাকাতির গল্প সাজিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে আসেন যুবতী। কেন? তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাবে বধূর স্বীকারোক্তি, স্বামীর বকুনির ভয়ে তিনি এই কাজ করেছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
পালঘর শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৩ ১৫:৪৬
Woman spends all money of husband and falsely claims of robbery in house to police

আরও কয়েক লক্ষ টাকা এবং গয়না ছিল। সেগুলি ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেন ওই যুবতী। —প্রতীকী চিত্র।

বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে এসেছিলেন। দাবি ছিল, নগদ কয়েক লক্ষ টাকা-সহ সোনার গয়না নিয়ে চম্পদ দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে তদন্তকারীদের চক্ষু চড়কগাছে।

মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার বাসাই এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনার তদন্ত করছিল পুলিশ। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিযোগকারিণী এবং তাঁর প্রতিবেশীদের। কিন্তু ডাকাতির অভিযোগের কোনও সূত্র পাচ্ছিলেন না তাঁরা। পরে অভিযোগকারিণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে আসল তথ্য। জানা যায়, ডাকাতির কোনও ঘটনাই ঘটেনি। নিজেই টাকা খরচ করেছেন ওই মহিলা। কিছু টাকা ভাইয়ের কাছে সরিয়ে দিয়েছেন। তার পর ডাকাতির গল্প সাজিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে আসেন। কেন এমন করলেন? তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাবে বধূর স্বীকারোক্তি, স্বামীর বকুনির ভয়ে এই কাজ করেছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বধূর স্বামী বিদেশে মোটা মাইনের চাকরি করেন। সেখান থেকে মাসে মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাতেন স্ত্রীকে। কিন্তু যুবতী ইচ্ছেমতো টাকা উড়িয়েছেন। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ইতিউতি খরচ করেছেন। আরও কয়েক লক্ষ টাকা এবং গয়না আছে। কিন্তু সেগুলো তিনি ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কারণ, কিছু দিন পরই স্বামী বাড়িতে ফিরবেন। স্বামী যাতে সন্দেহ না করেন তাই ডাকাতির গল্প সাজান। আর তাতে সঙ্গ দেন তাঁর এক প্রতিবেশী। ইতিমধ্যে ওই মহিলা এবং তাঁর প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, মহিলার বাড়িতে হানা দিয়ে গয়নাগাটি-সহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে তারা।

আরও পড়ুন
Advertisement