Uttar Pradesh

ঋণ শোধ করতে পারেননি যুবক, পাওনাদারদের ‘চাপে’ কীটনাশক খেলেন মা-বোন-ভাই! উত্তরপ্রদেশে মৃত দুই

হাসপাতালে যাওয়ার পর সুমন এবং কোমলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। গোলু এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ১০:১৪

—প্রতীকী ছবি।

স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন। দুই পুত্র এবং কন্যা নিয়ে সংসার। ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন ৪২ বছরের সুমন তিওয়ারি। সংসার চালানোর জন্য আড়াই লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। জ্যেষ্ঠ পুত্রের ঋণ শোধ করার কথাও ছিল। কিন্তু অর্থাভাবে ধার নেওয়া টাকা নির্ধারিত সময়ে শোধ করতে পারেননি তিনি। পাওনাদারের ক্রমাগত ‘চাপে’ পড়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন সুমন। তাঁর ছেলেমেয়েকেও কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনাটি রবিবার সকালে উত্তরপ্রদেশের আরাই গ্রামে ঘটেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সুমনের স্বামী সুনীল মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে কোনও কাজ করতে পারেন না। পাঁচ জনের সংসারে আয়ের কোনও উৎস নেই। সংসারের খরচ চালানোর জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন সুমন। টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই তাঁদের বাড়িতে পাওনাদারেরা আসতেন। সুমন জানিয়েছিলেন যে, তাঁর বড় ছেলে যুবরাজ ঋণ শোধ করে দেবেন। কিন্তু সময় মতো সেই টাকা শোধ করতে পারেননি তিনি। অভিযোগ, পরিবারের সকলের উপর টাকার জন্য ‘চাপ’ সৃষ্টি করতে শুরু করেন পাওনাদারেরা।

সুমনের ভাই অশোককুমার জানান, সুমনের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে তাঁর শাশুড়ি এবং ননদের নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা, পাওনাদারদের ‘চাপ’ এবং ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে কীটনাশক খেয়ে ফেলেন সুমন। তাঁর ২২ বছরের কন্যা কোমল এবং ১৪ বছরের পুত্র গোলুকেও সেই কীটনাশক খাওয়ান সুমন। প্রয়াগরাজ জেলা হাসপাতালে তাঁদের তিন জনকে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পর সুমন এবং কোমলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। গোলু এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুমনের শাশুড়ি এবং ননদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমনের ভাই। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement