Farm Laws

বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে গাজিপুর সীমানা খালি করতে কৃষকদের নির্দেশ যোগী সরকারের

নিজেদের অবস্থানে অনড় কৃষকরাও। তাঁরা বিক্ষোভস্থল ছাড়তে নারাজ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ২০:৩০
বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত।

বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত। ফাইল চিত্র

এক দিকে একাধিক মামলা এবং কৃষক নেতাদের নামে ‘লুক অউট’ নোটিস জারি, অন্য দিকে নির্দেশ না মানলে গাজিপুর সীমানা থেকে জোর করে অবস্থান তুলে দেওয়ার সরকারি নির্দেশিকা। তার জেরে আন্দোলনকারী কৃষকরা কিঞ্চিৎ বেকায়দায়। কৃষকদের সীমানায় বেঁধে রাখতে জেসিবি মেশিন দিয়ে রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। ফলে প্রশাসনের সঙ্গে আরেক দফা সংঘর্ষের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্য দুই সীমানা টিকরি এবং সিঙ্ঘুতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির বুকে কৃষকদের প্রবল বিক্ষোভের পরই নাটকীয় পট পরিবর্তন। এ বার কড়া হাতে কৃষকদের বিক্ষোভ দমনে নামল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় বিক্ষোভকারী কৃষকদের জায়গা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গাজিয়াবাদ প্রশাসন। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় কৃষকরাও। তাঁরা বিক্ষোভস্থল ছাড়তে নারাজ। প্রশাসনের চাপের মুখে পড়ে পালটা হুঙ্কার দিয়েছেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (বিকেইউ)-এর জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত। ঘটনাচক্রে, যাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস ঝুলিয়েছে প্রশাসন। জায়গা ছাড়ার বদলে গুলির মুখোমুখি হতে রাজি আছেন বলেও জানিয়েছেন টিকায়েত। আত্মসমর্পণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন রাকেশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাকেশ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা বলেছে। গাজিপুর সীমানায় কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। এর পরেও সরকার দমনপীড়নের পথে এগোচ্ছে। এটাই উত্তরপ্রদেশ সরকারের আসল চেহারা।’’ প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সিল করা রয়েছে গাজিপুর সীমানা। গত মঙ্গলবার সেখানকার ব্যারিকেড ভেঙে ট্র্যাক্টর নিয়ে ঢুকে পড়েন কৃষকরা।

যোগী সরকার চরমসীমা বেঁধে দেওয়ার পর বিবৃতি দেন রাকেশ। তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসে ঘটে যাওয়া ‘হিংসা’র জন্য শীর্ষ আদালত নিযুক্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত চালানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। দীপ সিধুর ‘প্রকৃত পরিচয়’ প্রকাশ্যে আনার দাবিও তুলেছেন রাকেশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিক্ষোভকারী কৃষকরা আদালতে শান্তিপূর্ণ ভাবে গ্রেফতার বরণ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু প্রশাসন গা জোয়ারি করলে আমি আত্মহত্যা করব’। আরও বলা হয়েছে, ‘প্রশাসন এমন পরিকল্পনা করলে আমি এখানেই থাকব। প্রয়োজনে গুলির মুখোমুখিও হব।’ সঙ্গে রাকেশ বলেছেন, কৃষকদের আন্দোলন ভেস্তে দিতে ‘ষড়যন্ত্র’ করা হয়েছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের পর কৃষক আন্দোলন নিয়ে দেশীয় রাজনীতিতে নানা অভিমুখ দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ১৬টি বিরোধীদল একযোগে জানিয়ে দিয়েছে, আন্দেলনরত কৃষকদের প্রতি যে মনোভাব কেন্দ্র দেখাচ্ছে, তার প্রতিবাদে ২৯ জানুয়ারি দুই সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করা হবে। কৃষকদের মধ্যেও বিভেদ দেখা যাচ্ছে। অনেকেই ওই ঘটনার পর নিজেদের সরিয়ে নিতে চাইছেন আন্দোলন থেকে। তবে, রাকেশ অনড়। তিনি বলেছেন, বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন না প্রত্যাহার পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

আরও পড়ুন
Advertisement