অসময়ের তুষারপাত এবং বৃষ্টির জেরে বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে লাদাখ। — ফাইল ছবি।
অসময়ের তুষারপাত এবং প্রবল বৃষ্টি। এই দুইয়ের জেরে বিপর্যস্ত লাদাখ। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। আগামী কয়েক দিন তুষারপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বাসিন্দাদের ধসপ্রবণ এলাকায় না যেতে নির্দেশ।
বৃষ্টিতে নাজেহাল হিমাচল প্রদেশ। পঞ্জাব, হরিয়ানাও প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে। জম্মু-কাশ্মীরে তাণ্ডব চালাচ্ছে হড়পা বান। সব মিলিয়ে উত্তর ভারতে ‘খেলা’ দেখাচ্ছে বর্ষা। বাকি ছিল কেবল লাদাখ। রবিবার থেকে লাদাখেও লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সেখানে শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত। সঙ্গে দোসর হয়েছে অবিরাম বৃষ্টি।
হাওয়া অফিসের কর্তারা জানাচ্ছেন, লেহ্ এবং কারগিল জেলায় অসময়ের তুষারপাত চলছে। গত দু’দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি চলার পর শনিবার রাত থেকে শুরু হয় তুষারের দাপাদাপি। যা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে অবিরাম। এই পরিস্থিতিতে কারগিলের লাংডুম গ্রাম ঢাকা পড়েছে তিন ইঞ্চি পুরু বরফের চাদরের তলায়। পেনসি লা, জাসকর উপত্যকা এবং কারগিলকে ঘিরে থাকা পাহাড়েও পুরু বরফের আস্তরণ। কারগিল রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধস নেমেছে লামায়ুরুতে। লেহ-কারগিল হাইওয়েতেও যানচলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লেহ, কারগিলের একাধিক পাস বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ফলে লাদাখের উঁচু পাহাড়ে যাঁদের বসবাস, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
লাদাখে এই সময় সাধারণত তুষারপাত হয় না। কিন্তু বৃষ্টির দোসর হয়ে যে ভাবে তুষার ঝরছে আকাশ থেকে তাতে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাসিন্দারা। মূলত এই কারণেই গোটা এলাকায় সোমবার পর্যন্ত লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যার পর তুষারপাত সামান্য কমতে পারে। তবে বৃষ্টি ধরে আসবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও আগামী ২৪ ঘণ্টা লাল সতর্কতা জারি থাকবে। প্রশাসন থেকে লাদাখের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বার্তা প্রচারিত হচ্ছে। ধসপ্রবণ এলাকা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। একাধিক জায়গায় হড়পা বানেরও আশঙ্কা রয়েছে। সোমবার থেকে আবহাওয়া ভাল হতে পারে। যদিও তুষারপাত অব্যাহত থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।