ছবি: পিটিআই।
ভারতে ঢুকে পড়ল কোভিডের নতুন রূপ ওমিক্রন। কর্নাটকে দু’জনের দেহে করোনার নয়া রূপের হদিশ মিলেছে বলে বৃহস্পতিবার জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আক্রান্তদের মধ্যে এক জন পুরুষ এবং এক জন মহিলা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৬৬ এবং ৪৬ বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। আক্রান্তদের ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং’-ও করা হয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯টি দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে। গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ৩৭৩ জন কোভিডের এই নতুন রূপে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল টুইট করে জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের যে সব রোগীর হদিশ মিলেছে, সকলেরই মৃদু উপসর্গ ধরা পড়েছে। এর সংক্রমণে মারাত্মক কোনও উপসর্গের কথা এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও কোভিডের এই নতুন রূপের প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করছে।’
কোভিড-এর এই নতুন রূপকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়েই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারত-সহ একাধিক দেশ আন্তর্জাতিক বিমানে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে।
All #Omicron related cases are found to have mild symptoms so far...In all such cases in the country and across the world so far, no severe symptom has been noted. WHO has said that its emerging evidence is being studied: Lav Agarwal, Joint Secretary, Union Health Ministry pic.twitter.com/7cfCAwHRt0
— ANI (@ANI) December 2, 2021
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যাঁরা আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে, তাঁরা আবারও ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও কতটা সংক্রামক তা এখনও স্পষ্ট নয়। আরটি-পিসিআর পরীক্ষা এই রূপকে দ্রুত ধরতে সক্ষম বলে জানিয়েছে হু। এই ভাইরাসের উপর কোভিড টিকার কার্যকারিতা কতটা তা জানার জন্য গবেষণা চলছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ‘বি.১.১.৫২৯’ রূপকে উদ্বেগজনক বা ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেটিকে ‘ওমিক্রন’ নাম দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। নতুন এই রূপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের।
যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ওমিক্রন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। গবেষণা চলছে। ফলে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে সচেতনতা জরুরি।