Twins Death

যমজ হয়ে জন্ম, মৃত্যুতেও ‘যমজ’ হয়ে রইলেন সুরত এবং জয়পুরের বাসিন্দা দুই ভাই

সুরতের ভাড়াবাড়িতে বুধবার রাতে ফোনে কথা বলতে বলতে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় সুমেরের। ফোনে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়ি পৌঁছন সোহন। প্রায় একই ভাবে তিনিও মারা যান।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:২৪
বৃহস্পতিবার যমজ দুই ভাইকে একই চিতায় দাহ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার যমজ দুই ভাইকে একই চিতায় দাহ করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।

দুই যমজ ভাই। থাকতেন একে অপরের থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে। এক ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরই প্রায় একই ভাবে মৃত্যু হল অন্য জনের। নিহতদের নাম সুমের সিংহ এবং সোহন সিংহ। দু’জনেরই বয়স ২৬।

সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস্‌ অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুমের এবং সোহনের বাড়ি রাজস্থানের ‘সরনো কা তলা’ নামে এক প্রত্যন্ত গ্রামে। কিন্তু পেশাগত কারণে তাঁরা একে অপরের থেকে দূরে থাকতেন। গুজরাতের সুরতে একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করতেন সুমের। অন্য দিকে সোহন থাকতেন জয়পুরে। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। অর্থাৎ, একে অপরের থেকে প্রায় ৯০০ কিমি দূরে থাকতেন তাঁরা।

Advertisement

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুরতের যে বাড়িতে সুমের ভাড়া থাকতেন বুধবার রাতে ফোনে কথা বলতে বলতে সেই বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ফোনে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়ি পৌঁছন সোহন। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি বাড়ির ছাদে একাই হাঁটছিলেন। হঠাৎই ছাদে থাকা জলের ট্যাঙ্কে পড়ে যান সোহন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে যমজ ভাইদের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সুমের-সোহনের পরিবার।

বারমেরের সিন্ধারি থানার পুলিশ আধিকারিক সুরেন্দ্র সিংহ বলেন, “পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে, বুধবার রাতে ফোনে কথা বলতে বলতে পা পিছলে ছাদ থেকে পড়ে যায় সুমের। যমজ ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ি ফেরার পর বৃহস্পতিবার ভোরে জলের ট্যাঙ্কে পড়ে মারা যান সোহনও। তবে সোহন আত্মহত্যা করেছেন না দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’’

বৃহস্পতিবার যমজ দুই ভাইকে তাঁদের গ্রামে দাহ করা হয়েছে। দু’জনকে একই চিতায় দাহ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement