সামান্য ব্যবধানে জিতলেন ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই তলানিয়ে ঠেকল ব্যবধান। গত বছর জুন মাসে উপনির্বাচনে টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৬,১০৪ ভোটে হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের আশিস সাহাকে। এ বার আশিসের সঙ্গে তাঁর ব্যবধান কমে হাজারেরও নীচে নেমে গেল।
টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মানিক। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আশিস পেয়েছেন প্রায় ৪৭ শতাংশ ভোট। তৃণমূল প্রার্থীর ঝুলিতে দেড় শতাংশের সামান্য বেশি। বিজেপির ‘শক্ত ঘাঁটি’ বলে পরিচিত রাজধানী আগরতলার ওই আসনে নামমাত্র ব্যবধানে মানিকের এই জয় বিজেপির সমর্থন কমার বার্তা বলেই বিরোধীদের দাবি। প্রসঙ্গত, ২০১৮০-র বিধানসভা নির্বাচনের টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন আশিস। পরে তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় উপনির্বাচন হয়েছিল।
জুন মাসের উপনির্বাচনে টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে মানিক পেয়েছিলেন ১৭,১৮১টি ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দু’বারের বিধায়ক, কংগ্রেস প্রার্থী আশিস পান ১১,০৭৭টি ভোট। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য পেয়েছিলেন মাত্র ৯৮৬টি ভোট। ওই আসনে বামফ্রন্টের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী পেয়েছিলেন ৩,৩৭৬টি ভোট। এ বার বামদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হওয়ায় সেই ভোট কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে। তার ফলেই ব্যবধান কমেছে বলে শাসক শিবিরের দাবি।
গত বছরের মে মাসে বিপ্লব দেবের আচমকা ইস্তফার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যসভার সাংসদ মানিক সাহার নাম ঘোষণা করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে থাকতে হলে তাঁকে উপনির্বাচনে জিততে হত। এক সময়ের কংগ্রেস নেতা মানিক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। পেশায় দন্ত্যচিকিৎসক ২০২০ সালে ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতিও হয়েছিলেন তিনি।