Jammu and Kashmir Terror Attack

পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের দায় নিল লশকরের ছায়া-সংগঠন, ঘটনাস্থলে শাহ, কথা বললেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে

পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকরের ছায়া সংগঠন টিআরএফের সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বৈসরন উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। রাতে নৃশংস হত্যালীলার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীটি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৭
কাশ্মীরে পৌঁছেছেন অমিত শাহ। কথা বলছেন আক্রান্ত ও স্থানীয়দের সঙ্গে।

কাশ্মীরে পৌঁছেছেন অমিত শাহ। কথা বলছেন আক্রান্ত ও স্থানীয়দের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবার দুপুরের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন বাসিন্দা। আহত আরও অনেকে। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার সকালে তিনি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধাও জানান। কথা বলেন তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে। জরুরি পরিস্থিতিতে উপত্যকায় পৌঁছেছে জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ।

Advertisement

পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকরের ছায়া সংগঠন টিআরএফ-এর সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বৈসরন উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। রাতে হত্যালীলার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীটি। সেই আবহে বুধবার সকালে এক জন আইজির নেতৃত্বে উপত্যকায় পৌঁছোন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হামলার ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং স্থানীয় পুলিশকে সহায়তা করবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসেও জম্মু-কাশ্মীরের রেইসি জেলায় পুণ্যার্থীদের একটি বাসে হামলা চালিয়েছিল টিআরএফ। মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১০ জন পুণ্যার্থীর।

টিআরএফের উত্থান ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ হওয়ার পর। টিআরএফের জন্ম হয়েছিল কাশ্মীরি জঙ্গি শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র সদ্য অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই লশকরের ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। উপস্থিতি জানান দিতে সে সময় লশকর, জৈশ-ই-মহম্মদ-সহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে এই সংগঠনে সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়। এদের মূল লক্ষ্য ছিল, কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্য সাধনের জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মে পুনর্বিন্যাস আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত আড়ে-বহরে বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসাবে চিহ্নিত করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র।

Advertisement
আরও পড়ুন