Chandigarh

Chandigarh: পঞ্জাবের অন্তর্ভুক্ত হোক চণ্ডীগড়, কেন্দ্রকে চাপে ফেলে বিধানসভায় প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী মানের

চণ্ডীগড় নিয়ে পঞ্জাব-কেন্দ্র সঙ্ঘাতের সূত্রপাত চলতি সপ্তাহে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চণ্ডীগড়ের সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ঘোষণার পরে। শাহের ঘোষণার পরেই মান অভিযোগ করেন, পঞ্জাবের আপ সরকারকে বিপাকে ফেলতেই ওই পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২২ ১৩:০৪
ভগবন্ত মান।

ভগবন্ত মান। ফাইল চিত্র।

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নেওয়ার দু’সপ্তাহের মাথাতেই কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্ঘাতের বার্তা দিলের ভগবন্ত মান। উপলক্ষ, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের নিয়ন্ত্রণ। চণ্ডীগড়কে অবিলম্বে পঞ্জাবের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার পঞ্জাব বিধানসভায় এই মর্মে একটি প্রস্তাবও পেশ করেছে আম আদমি পার্টি (আপ)-র সরকার।

১৯৬৬ সালের নভেম্বরে অবিভক্ত পঞ্জাব প্রদেশের জাঠ প্রধান অঞ্চল নিয়ে হরিয়ানা রাজ্য গঠন করা হয়েছিল। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়কে দুই রাজ্যেরই রাজধানী করা হয়। শুক্রবার পঞ্জাব বিধানসভায় মান বলেন, ‘‘১৯৬৬ সালের পঞ্জাব পুনর্গঠন আইনে হরিয়ানা গঠন করা হয়েছিল। পঞ্জাবের কিছু অংশ হিমাচল প্রদেশকেও দেওয়া হয়েছিল। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে ভাকরা বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড’-এর মতো কিছু যৌথ সম্পদের পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সে সময়।’’

এর পরেই চণ্ডীগড়কে পঞ্জাবের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলে মান বলেন, ‘‘অতীতে দেখা গিয়েছে, কোনও রাজ্য বিভাজন করা হলে রাজধানী শহর মূল রাজ্যটিকেই দেওয়া হয়। তাই আমরাও এ বার সেই দাবি তুলছি।’’ যদিও মানের এই দাবি পুরোপুরি ঠিক নয় বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই। ২০১৪ সালে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ বিভাজনের সময় নবগঠিত তেলঙ্গানার ভাগেই পড়েছিল রাজধানী হায়দরাবাদ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, চণ্ডীগড় নিয়ে পঞ্জাব-কেন্দ্র সঙ্ঘাতের সূত্রপাত চলতি সপ্তাহে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চণ্ডীগড়ের সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ঘোষণার পরে। শাহের ঘোষণার পরেই মান অভিযোগ করেন, পঞ্জাবের আপ সরকারকে বিপাকে ফেলতেই ওই পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ধাপে ধাপে চণ্ডীগড় প্রশাসনে বাইরের কর্মীদের নিয়ে আসছে। এই পদক্ষেপ ১৯৬৬ সালের পঞ্জাব পুনর্গঠন আইনের পরিপন্থী। চণ্ডীগড়ের উপর ন্যায্য দাবির জন্য পঞ্জাব লড়াই করবে।’

আরও পড়ুন
Advertisement