High Security in Delhi

শুক্র থেকে দিল্লি হয়ে উঠছে ‘দুর্গ’, তিন দিন সিনেমা দেখা বা কেনাকাটা বন্ধ, প্রাতর্ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা

দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এমনিতে ‘খোলা’ থাকছে গোটা দিল্লি। শুধু নয়াদিল্লি পুর এলাকা (এনডিএমসি)-এর অন্তর্গত ছোট অংশে থাকছে বিধিনিষেধ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫৫
image of security in DELHI

জি২০ সম্মেলনের আগে দিল্লিতে কড়া নিরাপত্তা। ছবি: পিটিআই।

দিল্লিতে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে জি২০ সম্মেলন। তার আগে জাতীয় রাজধানী যেন দুর্গ! এনসিআর বা জাতীয় রাজধানী এলাকা-সহ কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল গোটা দিল্লি। নাগরিকদের গতিবিধিতেও থাকছে নিয়ন্ত্রণ। এমনকি, সম্মেলনের কথা মাথায় রেখে বন্ধ রাখা হচ্ছে একাধিক রাস্তা, শপিং মল, সিনেমা হল। নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চলবে না কোনও সাইকেল, মোটরবাইক, গাড়ি। এমনকি সপ্তাহান্তে প্রাতর্ভ্রমণে যেতেও বারণ করেছে পুলিশ।

Advertisement

প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপমে হবে সম্মেলন। তবে বাকি ১৯টি দেশের রাষ্ট্রনেতা, প্রতিনিধিরা রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকছেন। দিল্লির বেশ কিছু ঐতিহাসিক সৌধও তাঁরা দেখতে যাবেন বলে খবর। সে কারণে গোটা দিল্লিতেই থাকছে কড়া প্রহরা। এর মধ্যে প্রগতি ময়দানের পাশাপাশি লুটিয়েন্সকেও ‘নিয়ন্ত্রিত এলাকা’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই লুটিয়েন্সেই রয়েছে সরকারি বাংলো, দফতর, বিলাসবহুল হোটেল। সে কারণে সেখানে গতিবিধির উপর থাকছে নজরদারি। যদিও দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এমনিতে ‘খোলা’ থাকছে গোটা দিল্লি। শুধু নয়াদিল্লি পুর এলাকা (এনডিএমসি)-এর অন্তর্গত ছোট অংশে থাকছে বিধিনিষেধ। তবে বাস্তবে কিন্তু পরিস্থিতি একটু অন্য রকমই। বাকি সপ্তাহান্তের মতো এই সপ্তাহান্ত স্বাভাবিক ভাবে কাটবে না দিল্লিবাসীর।

দিল্লি ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত গাড়ি চলাচলে থাকছে বিধিনিষেধ। বন্ধ থাকছে একাধিক রাস্তা। সে কারণে যানচলাচল বিঘ্নিত হতে পারে। নয়াদিল্লি এলাকার বাসিন্দারা শহরে প্রবেশ বা শহর থেকে বেরিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু অন্য জায়গার বাসিন্দারা বিশেষ ছাড়পত্র ছাড়া এই এলাকায় ঢুকতে পারবেন না। শনিবার ভোর ৫টা থেকে রবিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত নয়াদিল্লি পুরএলাকায় কোনও তিন চাকার অটো বা ট্যাক্সিও চলাচল করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে মথুরা রোড, ভাইরোঁ রোড, পুরানা কিলা রোড, প্রগতি ময়দানের অন্তর্গত সুড়ঙ্গে কোনও পণ্যবাহী যান, বাণিজ্যিক যান বা যাত্রিবাহী বাস, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াতকারী বাস চলবে না। ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই বাসগুলি। তবে রিং রোড এবং রিং রোড থেকে দিল্লি সীমান্ত পর্যন্ত চলবে বাস।

ট্যাক্সি চলাচলের ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু ছাড়পত্র। নয়াদিল্লি এলাকার বাসিন্দারা কোনও ট্যাক্সিতে থাকলে তা শহরে ঢুকতে পারবে। বাসিন্দাদের সঙ্গে রাখতে হবে ওই এলাকায় থাকার প্রমাণপত্র। তবেই তাঁদের বাড়িতে ছেড়ে আসার অনুমোদন পাবে ট্যাক্সি। নয়াদিল্লির অন্তর্গত কোনও হোটেলে থাকছেন এমন পর্যটকরা যে সব ট্যাক্সিতে সওয়ার থাকবেন, সেগুলিও ঢুকতে পারবে শহরে।

৮ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার থেকে নয়াদিল্লির সব শপিং মল, দফতর, থিয়েটার, সিনেমা হল বন্ধ থাকছে। তবে গোটা দিল্লি জুড়ে সমস্ত ওষুধ, সব্জি, ফল, দুধের দোকান, এটিএম খোলা থাকবে। ধৌলা কুয়াঁ, খান মার্কেট, জনপথ, ভিখাজি কামা এলাকাকে ‘সংবেদনশীল এলাকা’ বলে ঘোষণা করেছে দিল্লি পুলিশ। নয়াদিল্লি এলাকার বাজারেও গতিবিধিতে থাকছে নিয়ন্ত্রণ। সেদিকে নজর রাখবে পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক সুমন নালওয়া জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সাইকেল, গাড়ি এবং অন্য যান চলাচল নিষিদ্ধ। রাজধানীর বাসিন্দাদের এই তিন দিন মেট্রোয় যাতায়াত করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। সপ্তাহান্তে বাসিন্দাদের প্রাতর্ভ্রমণে না যাওয়ারও অনুরোধ করা হয়েছে। জি২০ সম্মেলন চলার সময় দিল্লিতে খাবার এবং অন্য জিনিস সরবরাহ বন্ধ থাকছে।

আরও পড়ুন
Advertisement