Prashant Kishor

Prashant Kishor: পিকে-র রাজনৈতিক দর কষাকষির ক্ষমতা কমল, কংগ্রেসে যোগদান ভেস্তে যাওয়ায় মত তৃণমূলের

ভোটকুশলী পিকে আগেও বেশ কয়েকবার বিভিন্ন দলের নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেছেন। গত বছর কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন তিনি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদাদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২২ ০৭:০৫
পিকে-কে নিয়ে মন্তব্য তৃণমূলের।

পিকে-কে নিয়ে মন্তব্য তৃণমূলের। ফাইল চিত্র।

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকের পরেও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সে দলে যোগদান ভেস্তে গিয়েছে। তা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু সূত্রের খবর, ঘরোয়া আলোচনায় তৃণমূল নেতৃত্বের মনোভাব, এই গোটা ঘটনায় জাতীয় স্তরে পিকে-র রাজনৈতিক দর কষাকষির ক্ষমতা কিছুটা কমে গেল।

ভোটকুশলী পিকে আগেও বেশ কয়েকবার বিভিন্ন দলের নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেছেন। গত বছর কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন তিনি। বারবার বৈঠক করেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে। অন্য দিকে, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সংস্থার পাঁচ বছরের চুক্তি। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘পিকে একজন পেশাদার। তিনি কার সঙ্গে দেখা করবেন, কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নিয়ে তৃণমূলের কিছু বলার নেই।’

Advertisement

কিন্তু গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে, বিশেষ করে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পিকে তাঁর মতামত সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ তৈরি হয় বঙ্গের শাসক দলের অভ্যন্তরে। তাঁর সুপারিশকে অগ্রাহ্য করেই মমতা পুর নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছিলেন বলে সূত্রের খবর।

তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, পিকে-কংগ্রেস দর কষাকষির বিষয়টি এতটাই প্রকাশ্যে চলে এসেছিল, যে শেষ পর্যন্ত অস্বস্তি তৈরি হয়েছে উভয় পক্ষেরই। এক দিকে, পিকে-কে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী রাজনীতির নেতৃত্ব দানের যে কৌশল তৈরি করছিল সনিয়া গান্ধী দল, তা ধাক্কা খেয়েছে। অন্য দিকে, পিকে-ও নিজের শর্তে কংগ্রেসকে রাজি করাতে পারেননি। রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, এই পরিস্থিতিতে যদি কারও লাভ হয়ে থাকে, তা হলে তা তৃণমূলেরই। কারণ, টিআরএসের সঙ্গেও পিকে-র সংস্থার চুক্তি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু জাতীয় স্তরে বিরোধী রাজনীতিতে গুরুত্বের বিচারে মমতার কাছাকাছি নেই টিআরএস প্রধান তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।

তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এ কথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, কংগ্রেস বা অন্য বিরোধী দল থেকে নেতা বা নেত্রী তৃণমূলে যোগ দিলে, সরাসরি দলীয় নেতৃ্ত্বের সঙ্গে
কথা বলেই তা করেন। এখানে অন্য কোনও সংস্থার ভূমিকা নেই। সম্প্রতি রিপুন বরা বা তার আগে সুস্মিতা দেবের উদাহরণ এ ক্ষেত্রে তুলে ধরা হচ্ছে। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “পিকে এবং তাঁর সংস্থা অবশ্যই থাকবেন। তাঁদের মূল ভূমিকা থাকবে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার তথ্য ও তার বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দেওয়ার, সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং অন্যান্য মাধ্যমে প্রচার কৌশল তৈরির। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ নীতি নির্ধারণে তাঁর কোনও ভূমিকা থাকবে না।”

আরও পড়ুন
Advertisement