তীর্থ সিংহ রাওয়াত।
উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন তীর্থ সিংহ রাওয়াত। বুধবার বিকেল ৪টেয় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করবেন তিনি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে মঙ্গলবারই ইস্তফা দিয়েছিলেন ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব বেছে নিলেন তাঁর উত্তরসূরিকে। হবু মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ ত্রিবেন্দ্রর মন্ত্রিসভারই সদস্য ছিলেন এক সময়ে। বর্তমানে তিনি বিজেপির সাংসদ। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁকে বেছে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তীর্থ অবশ্য উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন এক বছরের জন্যই। কারণ এক বছর পর উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। তারপর পালাবদল হলে বদলে যেতে পারে সমীকরণ। তবু এক বছরের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর কমতি ছিল না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল, উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রী ধন সিংহ রাওয়াতের মতো নাম উঠে এসেছিল সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। শেষে বিজেপি সাংসদ তীর্থকেই বেছে নেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
কিন্তু এক বছরের জন্য ত্রিবেন্দ্রকে সরানোর প্রয়োজন হল কেন? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘‘দিল্লি গিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন না কেন?’’ যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ত্রিবেন্দ্রর কাজে খুশি ছিলেন না বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকি, দলের বিভিন্ন স্তরে তাঁর কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষও দেখা গিয়েছিল।
৫৬ বছরের হবু মুখ্যমন্ত্রী তীর্থর অবশ্য জননেতা হিসেবে উত্তরাখণ্ডে বিশেষ পরিচিতি নেই। পূর্বসূরি ত্রিবেন্দ্রর মতোই প্রচারের আড়ালে থাকতে পছন্দ করেন। এক সময়ের আরএসএসের সঙ্ঘপ্রচারক ছিলেন তীর্থ সিংহ রাওয়াত। সংগঠক হিসেবে তাঁর দক্ষতা সুবিদিত রাজনৈতিক মহলে। নিজেও বেশ গোছানো মানুষ। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে তীর্থ বলেন, ‘‘আমি সঙ্ঘপ্রচারক ছিলাম। ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীও ছিলাম। এই দিন যে কখনও আমার জীবনে আসবে তা ভাবতে পারিনি। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী, অমিতজি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’’