জোর করে ইউনিফর্ম খোলার অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
নবম শ্রেণির পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ এক ছাত্রীর দিকে নজর পড়ে পরীক্ষকের। তাঁর সন্দেহ হয় নকল করছে ছাত্রীটি। অভিযোগ, ছাত্রীর পোশাকের মধ্যে টুকলি আছে কি না দেখার জন্য তাকে পোশাক খুলতে বলেন শিক্ষক। এই অপমানে বাড়ি ফিরে নিজের গায়ে আগুন দেয় ওই ছাত্রী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাকে। ঝা়ড়খণ্ডের জামশেদপুরের ঘটনা।
শুক্রবার পরীক্ষা চলছিল জামশেদপুরের একটি স্কুলে। পুলিশ সূত্রে খবর, নবম শ্রেণির এক ছাত্রী নকল করছে এই সন্দেহে তাকে ডেকে পাঠান শিক্ষক। এর পর ক্লাসরুমের পাশে একটি ঘরে ছাত্রীকে ইউনিফর্ম খুলতে বলেন শিক্ষক। ওই ছাত্রীর কাছ থেকে টুকলি পাওয়া গিয়েছে কি না জানা যায়নি। তবে এর পর বাড়ি ফিরে গিয়ে গায়ে আগুন দেয় ছাত্রীটি। তাকে তড়িঘড়ি একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে খবর। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ছাত্রীটি জানিয়েছে, বার বার সে শিক্ষককে জানায় যে সে নকল করেনি। কিন্তু তার কোনও কথা শোনা হয়নি। পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয়। বার বার বাধা দিলেও তার কোনও কথাই ওই শিক্ষক শোনেননি বলে অভিযোগ। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তাঁর মেয়ে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই গায়ে আগুন দেয় সে।
ইতিমধ্যে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।