Supreme Court on Hate Crime

গণপিটুনিতে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণে বৈষম্য কেন? সুপ্রিম কোর্টে বুধবার মুসলিম সংগঠনের আর্জির শুনানি

২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ বিদ্বেষজনিত হিংসা রুখতে এবং ক্ষতিপূরণের অভিন্ন ব্যবস্থা চালু করতে নতুন আইন প্রণয়নের কথা চিন্তাভাবনা করার পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রকে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০০
Supreme Court to hear plea for grant of uniform compensation to victims of hate crime

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

গণপিটুনিতে নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বৈষম্য ঘটছে বলে অভিযোগ তুলেছিল, ‘ইন্ডিয়ান মুসলিম ফর প্রোগ্রেস অ্যান্ড রিফর্মস’ (আইএমপিএআর)। এ বিষয়ে অভিন্ন নীতি প্রণয়নের জন্য ২০২৩ সালে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

আগামী বুধবার (২৩ এপ্রিল) এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। ধর্মীয় বিদ্বেষজনিত হিংসা বা স্বঘোষিত গোরক্ষকদের হামলার গত এক দশকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সমাজকর্মী তহসিম পুনাওয়ালার দায়ের করা একটি মামলায় ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ বিদ্বেষজনিত হিংসা রুখতে এবং ক্ষতিপূরণের অভিন্ন ব্যবস্থা চালু করতে নতুন আইন প্রণয়নের কথা চিন্তাভাবনা করার পরামর্শ দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।

বিচারপতি এএম খানউইলকরের পাশাপাশি, ওই বেঞ্চে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। যদিও ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর জমানায় দেশে গণপিটুনির ঘটনা আদৌ বাড়েনি। নতুন আইনেরও কোনও প্রয়োজন নেই।’’ যদিও পরবর্তী সময়েও হিন্দি বলয়ের বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্বেষজনিত হিংসার ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ গণপিটুনির ঘটনাই ঘটেছে গোরক্ষার নামে। আন্তর্জালে ঘৃণা ছড়িয়ে ইউটিউবের ‘সিলভার প্লে বাটন’ পুরস্কার পেয়েছেন হরিয়ানার মনু মানেসরের মতো স্বঘোষিত গোরক্ষা আন্দোলনের নেতা।

এই আবহে আইএমপিএআরের তরফে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নের আর্জি জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। আবেদনে বলা হয়েছিল, বর্তমান প্রথা বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানের ১৪, ১৫ এবং ২১ অনুচ্ছেদের বিধানের পরিপন্থী। কয়েকটি রাজ্যে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতি নিলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা নেই বলে অভিযোগ আবেদনকারী পক্ষের। বিচারপতি বিআর গবই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চে আগামী বুধবার মামলাটির শুনানি হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন