BJP-RSS

বিজেপির সঙ্গে সমস্যা মিটেছে, জানাল সঙ্ঘ

সামনে চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের মতে, আদৌ দুই শিবিরের মধ্যে সমস্যা মিটেছে কি না, তা বোঝা যাবে চার রাজ্যের ফলেই।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:১৪
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

লোকসভায় বিজেপির খারাপ ফলের অন্যতম কারণ ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর কর্মীদের বসে যাওয়া। দু’শিবিরের মধ্যে দূরত্বের কারণেই যে কর্মীরা বসে গিয়েছিলেন তা আজ কার্যত স্বীকার করে নেন আরএসএস নেতৃত্ব। তবে একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, পরিবারের লোকের মধ্যে বিবাদ হলে যে ভাবে তা মিটিয়ে ফেলা হয়, এ ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার মীমাংসা করে ফেলা হয়েছে। সামনে চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের মতে, আদৌ দুই শিবিরের মধ্যে সমস্যা মিটেছে কি না, তা বোঝা যাবে চার রাজ্যের ফলেই।

Advertisement

লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বিজেপির হয়ে প্রচারের পরিবর্তে কার্যত বাড়িতে বসে যান আরএসএস কর্মীরা। বিজেপির একাংশের মতে, দু’শিবিরের মধ্যে দূরত্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই দায়ী ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি সে সময়ে সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ভোটে জেতার জন্য বিজেপি একাই যথেষ্ট। বিজেপির কারও সাহায্যের প্রয়োজন নেই, এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ায় নির্বাচনী প্রচারে না গিয়ে উল্টে বসে যান আরএসএস কর্মীরা। যার প্রভাব পড়ে ভোটের বাক্সে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় বিজেপি। আজ আরএসএসের জাতীয় মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর দু’শিবিরের মধ্যের মতভেদের কথা স্বীকার করে নেন। দু’শিবিরের মধ্যে যে সমন্বয়ের অভাব ছিল তা ভবিষ্যতে যাতে না থাকে সে প্রসঙ্গে অম্বেকর বলেন, ‘‘যে হেতু বিজেপি ও আরএসএসের বিশ্বাস ও লক্ষ্য একই, তাই তাদের একই জমিতে থাকা উচিত।’’

তিন দিনের সম্মেলনে পদাধিকার বলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাকে। সূত্রের মতে, সম্মেলনে উপস্থিত থেকে নড্ডা আলাদা করে মোহন ভাগবত-সহ আরএসএসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের মতে, নড্ডার বৈঠকের পরেই বিবাদ মেটানোর বার্তা দেয় আরএসএস। দলের তরফে বলা হয়, বিজেপি ও আরএসএস সংঘাত একই পরিবারের মধ্যে হওয়া বিবাদ। যা মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন
Advertisement