Bharat Jodo Yatra

পদযাত্রায় যোগ দিতে সনিয়া কর্নাটকে

মাইসুরু বিমানবন্দরে সনিয়াকে স্বাগত জানান কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল-সহ নেতারা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৪৫
কর্ণাটক পৌঁছলেন সনিয়া গান্ধী।

কর্ণাটক পৌঁছলেন সনিয়া গান্ধী। — ফাইল চিত্র।

আম কর্মীদের সঙ্গে হাঁটতে মাইসুরু পৌঁছলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তাঁর পুত্র রাহুলের নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা ইতিমধ্যেই কেরল পেরিয়ে কর্নাটকে ঢুকেছে। দু’দিনের বিরতির পরে আগামী ৬ অক্টোবর আবার হাঁটা শুরু হবে। সনিয়া তখনই সেই যাত্রায় যোগ দেবেন বলে কংগ্রেস জানিয়েছে। সঙ্গে থাকবেন কংগ্রেসের আসন্ন সভাপতি নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী মল্লিকার্জুন খড়্গে।

এ দিন মাইসুরু বিমানবন্দরে সনিয়াকে স্বাগত জানান কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল-সহ নেতারা। পরে সিদ্দারামাইয়া বলেন, কোডাগুর একটি রিসর্টে আগামী দু’দিন সনিয়ার থাকার কথা ছিল। কিন্তু সেখানকার আবহাওয়া হেলিকপ্টারের যাত্রার পক্ষে অনুকূল না হওয়ায় ঠিক হয়েছে, কোডাগুর বদলে সনিয়া দু’দিন কাবিনিতে কাটাবেন।

Advertisement

কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ঘিরে সাম্প্রতিক জটিলতার পরে শেষ পর্যন্ত গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন মল্লিকার্জুন প্রার্থী হয়েছেন। অনুগামীদের বিদ্রোহের পরে নেতৃত্বের কড়া বার্তায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতও কিছুটা স্তিমিত। কিন্তু এই সব টানাপড়েনের ধাক্কা লেগেছে ভারত জোড়ো যাত্রায়। অসুস্থতা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন পরে দলের এত বড় মাপের কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন সনিয়া। ফলে সারা দেশের নজর আরও বেশি করেই থাকবে ভারত জোড়ো যাত্রার উপরে।সভাপতি নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী শশী তারুরের বক্তব্য, বিজেপি-বিরোধী লড়াইটা আরও ভাল ভাবে চালানোর জন্যই সভাপতি পদে নির্বাচন হওয়া দরকার।

আগের দিন মল্লিকার্জুন বলেছিলেন, তিনি তারুরকে জানিয়েছেন যে, সর্বসম্মত ভাবে সভাপতি বেছে নেওয়াটাই দলের পক্ষে মঙ্গলের। কিন্তু আজ তারুর স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি লড়াই থেকে পিছু হটবেন না। তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদের কথায়, গণতন্ত্রের খাতিরেই এই লড়াই হওয়া প্রয়োজন।

টুইটারে তারুর লিখেছেন, “খড়্গেজির সঙ্গে আমি একটি বিষয়ে একমত। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে লড়তে চায়, (দলে) একে-অন্যের বিরুদ্ধে নয়। সেই কাজটিই আরও ভাল ভাবে কী করে করা যায়, তা ঠিক করার জন্যই ১৭ তারিখের ভোট। আমাদের মধ্যে কোনও আদর্শগত বিরোধ নেই।”

আরও পড়ুন
Advertisement