কর্নাটকের প্রাক্তন ডিজি ওম প্রকাশকে খুনের অভিযোগ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
কর্নাটকের প্রাক্তন ডিজি ওম প্রকাশের সঙ্গে নিত্যদিন ঝগড়া করতেন স্ত্রী এবং কন্যা। পুলিশের কাছে এমনটাই দাবি করলেন পুত্র কার্তিকেশ। তাঁর আরও দাবি, ওমকে খুনের হুমকিও দিয়েছিলেন দু’জন। সে জন্য বাড়ি ছেড়ে চলেও গিয়েছিলেন ওম। যদিও শেষ পর্যন্ত আবার ফিরে আসেন। কার্তিকেশের দাবি, মা পল্লবী এবং বোনই প্রাক্তন আইপিএস অফিসারকে খুন করেছেন। ওমের স্ত্রী এবং মেয়েকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যদিও কর্নাটকের প্রাক্তন পুলিশ প্রধানকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
রবিবার বেঙ্গালুরুর বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় ৬৮ বছরের ওমের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পেটে, বুকে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল তাঁর। ১৯৮১ ব্যাচের আইপিএস অফিসারের পুত্র কার্তিকেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মা পল্লবী এবং বোন কৃতী খুনের হুমকি দিয়েছিলেন বাবাকে। সে জন্য তিনি বাড়ি ছেড়ে নিজের বোনের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর দু’দিন আগে ওমকে বুঝিয়েসুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছিলেন কৃতী। থানায় অভিযোগ করে কার্তিকেশ জানিয়েছেন, নিজের বাড়িতে ফিরতে রাজি ছিলেন না ওম। মেয়ের জোরাজুরিতেই ফিরে এসেছিলেন। কার্তিকেশের এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
থানায় কার্তিকেশ জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যায় ডোমলুরের কর্নাটক গল্ফ অ্যাসোসিয়েশনে ছিলেন তিনি। সেখানেই এক প্রতিবেশী ফোন করে খবরটা দেন তাঁকে। তার পরেই কার্তিকেশ ছুটে যান বাড়িতে। সেখানে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রাক্তন আইপিএসের দেহের পাশে ভাঙা কাচের বোতল এবং ছুরি পড়েছিল। কার্তিকেশের দাবি, তাঁর মা এবং বোনের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মা পল্লবী এবং বোন কৃতী অবসাদে ভুগছিল। বাবার সঙ্গে নিত্যদিন ঝগড়া করত ওরা। আমার সন্দেহ, ওরাই খুন করেছে বাবাকে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীর দিকে প্রথমে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়েছিলেন পল্লবী। তার পরে তাঁকে বেঁধে ভাঙা কাচের বোতল দিয়ে কুপিয়েছিলেন। স্বামীকে খুনের কথা অন্য এক পুলিশকর্তার স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিলেন পল্লবী। ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে বিষয়টি জানান। তার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। ওম প্রকাশ আদতে বিহারের বাসিন্দা। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে কর্নাটকের ডিজিপি হয়েছিলেন।