Solang

‘সোলাংয়ে আসবেন না’

নালীর কাছে সোলাং উপত্যকা এবং অটল সুড়ঙ্গের রুটে আটকে পড়েছিল অন্তত ২ হাজারেরও উপরে গাড়ি। মানালী পুলিশের ডেপুটি সুপার কে ডি শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বরফ সাফ করে বেশির ভাগ গাড়িকেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা করা হয়েছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:২৬
মানালীর কাছে সোলাং উপত্যকা এবং অটল সুড়ঙ্গের রুটে আটকে পড়েছিল অন্তত ২ হাজারেরও উপরে গাড়ি।

মানালীর কাছে সোলাং উপত্যকা এবং অটল সুড়ঙ্গের রুটে আটকে পড়েছিল অন্তত ২ হাজারেরও উপরে গাড়ি। ছবি: পিটিআই।

কাশ্মীর উপত্যকার মতোই গত কয়েক দিন ধরে হিমাঙ্কের নীচে হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। বরফের চাদরে ঢেকেছে উঁচু পার্বত্য অঞ্চলগুলি। এর মধ্যেই মানালীর কাছে সোলাং উপত্যকা এবং অটল সুড়ঙ্গের রুটে আটকে পড়েছিল অন্তত ২ হাজারেরও উপরে গাড়ি। মানালী পুলিশের ডেপুটি সুপার কে ডি শর্মা সংবাদমাধ্যমকে আজ জানিয়েছেন, বরফ সাফ করে বেশির ভাগ গাড়িকেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা করা হয়েছে।

Advertisement

এর মধ্যেই এক পর্যটক রাস্তায় তুষারপাতের মধ্যে নিজের আটকে পড়া গাড়ির ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘কেউ সোলাংয়ে আসবেন না’। মূলত এই শীতে হিমাচলের বিভিন্ন পাহাড়ি শহর ও উপত্যকায় বরফ দেখতে আসা পর্যটকদের প্রতি এই বার্তা দিয়েছেন লাকি ত্যাগী নামে ওই যুবক।

লাকি ইনস্টাগ্রামে ওই ছবিটি পোস্ট করেছেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, আজ সকাল ১০টা নাগাদ তিনি গাড়ি নিয়ে বরফের মধ্যে মাঝ রাস্তায় আটকে পড়েছিলেন। বিকেল পর্যন্ত সরাতে পারেননি সেই গাড়ি। প্রবল ঠান্ডায় এ ভাবে মাঝ রাস্তায় আটকে পড়ায় তীব্র সমস্যায় পড়েছেন বলে জানান ওই যুবক। জল, খাবারের সমস্যা তো রয়েইছে। পাশাপাশি, রাস্তা সাফ করতে প্রশাসনের উদ্যোগের অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। যদিও মানালী প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। রাস্তা পরিষ্কার করে বেশির ভাগ গাড়িকেই রওনা করিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বর্ষশেষের রাতে শিমলা, মানালী-সহ হিমাচলের বেশির ভাগ এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা কম। আগামী কয়েক দিন কিছুটা হলেও উঠবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ। তবে আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝার শক্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই সময়ে হিমাচল জুড়ে বৃষ্টি এবং প্রবল তুষারপাতের আশঙ্কা থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

Advertisement
আরও পড়ুন