Prajwal Revanna

দিনের পর দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, ভিডিয়োগ্রাফি! দেবগৌড়ার পৌত্র রেভান্নার নামে চার্জশিট পেশ সিটের

নির্যাতিতা হোলেনারসিপুরায় রেভান্না পরিবারের মালিকানাধীন একটি বাগানবাড়িতে কাজ করতেন‌। অভিযোগ, তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরে জোর করে আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন প্রজ্বল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ২০:০৬
প্রজ্বল রেভান্না।

প্রজ্বল রেভান্না। — ফাইল চিত্র।

প্রাক্তন সাংসদ তথা জেডি(এস) নেতা প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। তাতে জোর করে আটকে রেখে ধর্ষণ, সেই সময়ের ছবি ও ভিডিয়ো তুলে রেখে পরে নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে নানাবিধ অভিযোগ আনা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পৌত্রের বিরুদ্ধে। এমনটাই জানা গিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতিতা হোলেনারসিপুরায় রেভান্না পরিবারের মালিকানাধীন একটি বাগানবাড়িতে কাজ করতেন‌। অভিযোগ, তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরে জোর করে আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন প্রজ্বল। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালে, করোনা অতিমারির সময়। শুধু হোলেনারসিপুরার বাগানবাড়িতেই নয়, বেঙ্গালুরুর বাসগৃহেও তাঁকে ধর্ষণ করেন প্রজ্বল। প্রতিটি ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে রেখেছিলেন প্রজ্বল। নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যদি তিনি কখনও এ নিয়ে মুখ খোলেন, তা হলে পরিণতি ‘ভয়ানক’ হতে পারে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২)(কে), ৩৭৬(২)(এন), ৩৫৪, ৫০৬ এবং ২০১ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে ২০০৮ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬(ই) তম ধারার অধীনেও। আগামী ৯ এপ্রিল বিচার আদালতে এই মামলার শুনানি হবে।

উল্লেখ্য, এটি প্রজ্বলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি মামলার মধ্যে একটি। গত বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে ১০ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে মোট চারটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পৃথক মামলাও দায়ের করা হয় প্রজ্বলের বাবা হোলেনারসিপুরার বিধায়ক এইচডি রেভান্নার বিরুদ্ধেও।

গত লোকসভা ভোটে হাসনে জেডিএসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রজ্বল। সেখানে ভোটের আগে একটি পেনড্রাইভ প্রকাশ্যে আসে। ওই পেনড্রাইভে প্রজ্বলের যৌন হেনস্থার একাধিক ভিডিয়ো ছিল বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই প্রজ্বলকে দল থেকে সাসপেন্ড করে জেডিএস। ‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর পরই ভারত ছাড়েন হাসান লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ। পরে দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের জন্য কর্নাটক সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। তার পর থেকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই ছিলেন তিনি। গত নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় প্রজ্বলের। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রজ্বল অত্যন্ত প্রভাবশালী। জামিন পেলে তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন