পুলিশের গুলিতে নিহত মুখতার আনসারি গোষ্ঠীর সদস্য। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পাঁচ বছর ধরে অনুজ কনৌজিয়ার নাগাল পায়নি উত্তরপ্রদেশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। অন্তত ২৩টি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন মুখতার আনসারি গোষ্ঠীর বন্দুকবাজ। তাঁর মাথার দাম ছিল আড়াই লক্ষ টাকা। শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে সংঘর্ষে (এনকাউন্টারে) প্রাণ হারালেন বছর ৫০-এর অনুজ। উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশ জামশেদপুরে যৌথ অভিযানে নেমেছিল। তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন অনুজ। এনকাউন্টারে আহত হয়েছেন এসটিএফের ডেপুটি সুপার ডিকে শাহি।
উত্তরপ্রদেশ এসটিএফের অতিরিক্ত ডিজি অমিতাভ যশ জানিয়েছেন, বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অনুজকে ধরার চেষ্টা করছিল এসটিএফ এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশ। তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছিলেন অনুজ। তখন বাহিনীর পাল্টা গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়।
অনুজের বিষয়ে কোনও তথ্য দিলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ। সম্প্রতি সেই টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি করে আড়াই লক্ষ টাকা করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ এসটিএফের এডিজি অমিতাভ জানিয়েছেন, জামশেদপুরে কনৌজিয়ার গতিবিধি নিয়ে কিছু খবর দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই সূত্র ধরেই শুরু হয়েছিল অভিযান। সেই অভিযানকারী দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন অনুজ। এডিজি জানিয়েছেন, প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন অনুজ। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাও ছোড়েন। ডেপুটি সুপারের কাঁধে একটি গুলি এসে লাগে। যদিও তিনি সেই অবস্থাতেই অভিযান চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত অনুজকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি গুলি চালানো হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি পিস্তল, কার্তুজ, মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই মোবাইলের তথ্য এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অনুজ আদতে উত্তরপ্রদেশের মৌয়ের চিরাইয়াকোটের বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশের ‘ডন’ তথা রাজনীতিক আনসারি গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অনুজ তাঁর ডান হাত বলে পরিচিত ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। আজমগড়ে বুলডোজ়ার চালিয়ে তাঁর বাড়ি ভেঙে ফেলেছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের কয়েক জন সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ বার নিকেশ করা হল অনুজকে।