Congress

জমছে লড়াই, তারুরকে তির গহলৌতের

অবশেষে লড়াইটা মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে শশী তারুরের। এক জনের মাথায় হাত রয়েছে গান্ধী পরিবারের। সূত্রের বক্তব্য, সেই অর্থে তিনিই কংগ্রেসের সরকারি প্রার্থী।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২২ ০৮:১৮
ক্রমশ জমে উঠছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের লড়াই।

ক্রমশ জমে উঠছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের লড়াই। ফাইল ছবি

ক্রমশ জমে উঠছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের লড়াই। দীর্ঘ রাজনৈতিক নাটক পার হয়ে অবশেষে লড়াইটা মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে শশী তারুরের। এক জনের মাথায় হাত রয়েছে গান্ধী পরিবারের। সূত্রের বক্তব্য, সেই অর্থে তিনিই কংগ্রেসের সরকারি প্রার্থী। অন্য দিকে একদা দলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী জি-২৩-তে নাম লেখানো শশী তারুর। যদিও এই লড়াইয়ে বিদ্রোহী নেতাদের পাশে পাচ্ছেন না তারুর, কিন্তু প্রচারে কোনও ঢিলে দিতে রাজি নন তিনি। একে অন্যের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণাত্মক না হয়েও চলছে দু’পক্ষের কথার প্রচ্ছন্ন লড়াই।

প্রবীণ মল্লিকার্জুন খড়্গে আজ বলেছেন, “আমি কারও বিরোধিতা করার জন্য কংগ্রেসের সভাপতি পদে লড়ছি না। দলকে শক্তিশালী করার জন্য লড়াই করছি।” পাশাপাশি বিজেপি-কে নিশানা করে খড়্গের বক্তব্য, “বেকারিত্ব, মুল্যবৃদ্ধি বাড়ছে। বিজেপি-র সব প্রতিশ্রুতি অপূর্ণথেকে গিয়েছে।”

Advertisement

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় কংগ্রেস সভাপতি প্রার্থী পদ থেকে শেষ মুহূর্তে নাম কাটা গিয়েছে অশোক গহলৌতের। তিনি এখন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বিতর্কে জয় ঢেলে মুখ্যমন্ত্রী পদটিকে ধরে রাখতে। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, সনিয়া গান্ধীর মন পেতে খড়্গের পাশে দাঁড়িয়ে সংবাদ সংস্থার কাছে মুখ খুলেছেন গহলৌত। তারুরকে তিনি ‘অভিজাততন্ত্রের’ প্রতিনিধি হিসাবে ব্যঙ্গও করেছেন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “মল্লিকার্জুন খড়্গের অভিজ্ঞতা কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। সভাপতি পদে তিনি নিশ্চিত ভাবেই জয়ী হতে চলেছেন।” রবিবার মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে সাংবাদিকদের গহলৌত বলেন, “খড়্গের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্বচ্ছ তাঁর হৃদয়। দলিত সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা এই নেতাকে সবাই সম্মান করেন।” এর পরেই তাঁর মন্তব্য, “তারুরের শ্রেণিচরিত্রটাই আলাদা। তিনি অভিজাত শ্রেণির প্রতিনিধি। কিন্তু জেলা, বুথ এবং ব্লক স্তরে দলকে শক্তিশালী করার জন্য যে ধরনের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন তা তাঁর নেই। তাই তারুরের সঙ্গে খড়্গের তুলনা হয় না। স্বাভাবিক ভাবেই খড়্গের কাছে এটা একতরফা লড়াই।”

অন্য দিকে তারুরও যে সহজে হাল ছাড়বেন না তা তাঁর তোড়জোড়েই স্পষ্ট। তাঁর প্রচারের হ্যাশট্যাগ – ‘থিংক তারুর থিংক টুমরো।’ প্রথমেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন “খড়্গের সঙ্গে লড়াই কোনও যুদ্ধ নয়। কিন্তু যাঁরা দলের কাজকর্মে সন্তুষ্ট তাঁরা খড়্গে সাহেবকে বাছবেন। যাঁরা বদলাতে চান তাঁরা আমাকে।” শনিবার নাগপুর থেকে প্রচার শুরু করেছেন শশী। সাংবাদিকদের বলেছেন, “বড় নেতাদের আমরা অবশ্যই সম্মান দিই। কিন্তু এখন সময় এসেছে দলের যুবশক্তির কথা শোনার। আমরা দলের সংগঠনতন্ত্র বদলানোর চেষ্টা করব। দলের কর্মীদের গুরুত্ব বাড়ানো হবে।”

তারুর ছিলেন জি-২৩-র সদস্য। বিষয়টি নিয়ে খোঁচা মেরে বিজেপি-র আইটি সেল-এর প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “জি-২৩ তাহলে শশী তারুরকে ত্যাগ করল! ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বেশিরভাগই তো খড়্গেকে সমর্থন করছেন, তারুরকে নয়। এ বার কংগ্রেসের রাজ্য অফিসগুলির দরজা তারুরের জন্য বন্ধ হওয়ারখবর আসবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement