Rajya Sabha

Rajya Sabha: বিশৃঙ্খলার অভিযোগে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড ১৯ সাংসদ, তালিকায় তৃণমূলের সাত

শুক্রবার পর্যন্ত সাসপেন্ড হয়েছেন দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, শান্তনু সেন, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমূল হক এবং শান্তা ছেত্রী।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২ ১৫:১৫
রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিরোধীদের।

রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিরোধীদের। ছবি: পিটিআই।

অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল ১৯ জন সাংসদকে। বাদল অধিবেশনে শুক্রবার পর্যন্ত সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সাত জন— দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, শান্তনু সেন, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমূল হক এবং শান্তা ছেত্রী। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কানিমোঝি-সহ ডিএমকের ছয়, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির তিন, সিপিএমের দুই এবং সিপিআইয়ের এক জন।

মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যপণ্যে জিএসটি বসানো এবং গুজরাতে বিষমদ-কাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবিতে মঙ্গলবার রাজ্যসভা এবং লোকসভায় সরব হন বিরোধীরা। দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে বেলা ২টো পর্যন্ত দুই কক্ষেরই সভা মুলতুবি হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, গত বছর বাদল অধিবেশনের সময়ও সভার কাজ বানচাল করার অভিযোগে দোলা, মৌসম-সহ ছ’জন তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তবে সেই সাসপেনশনের মেয়াদ ছিল এক দিন।

Advertisement

ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর ‘অপরাধে’ সোমবার লোকসভার চার কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। সোমবার সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে তিনি জানিয়েছেন, সাসপেনশনের মেয়াদ চলতি বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য। সাসপেন্ড হওয়া চার কংগ্রেস সাংসদ হলেন, তামিলনাড়ুর মনিকম টেগোর (বিরুধনগর) ও জ্যোতিমণি সেন্নিমালাই এবং কেরলের টিএন প্রতাপন (ত্রিশূর) ও রম্য হরিদাস (কোঝিকোড়) এর পর সংসদ ভবন চত্বরে গাঁধীমূর্তির নীচে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান। আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত সংসদের চলতি বাদল অধিবেশন চলবে। ওই সময়সীমা পর্যন্ত চার কংগ্রেস সাংসদ অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না বলে সোমবার জানান স্পিকার।

প্রসঙ্গত, শুধু অধিবেশন কক্ষ নয়, গোটা সংসদ চত্বরেই আর ধর্না, বিক্ষোভ প্রদর্শন করা যাবে না বলে বাদল অধিবেশন শুরু আগে সংসদ সচিবালয়ের তরফে সাংসদদের উদ্দেশে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে বাদল অধিবেশনে দলের সাংসদেরা মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। গ্যাসের দাম বাড়ানো, খাদ্যপণ্যে জিএসটি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিতর্ক চেয়ে মুলতবি প্রস্তাবের নোটিসও দিয়েছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার আলোচনায় রাজি হয়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement