Pahalgam Terrorist Attack

পহেলগাম নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, অসমে ধৃত আট

সমাজের ধর্মীয় সৌহার্দ্যমূলক ভাবনাতেও আঘাত করেছেন। চৌধুরী অবশ্য পরে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষও ঘটনাটির তদন্ত করছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০২
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সমাজমাধ্যমের পোস্টে ‘ভারত-বিরোধী গন্ধ’ থাকলেই গ্রেফতার হবেন প্রোফাইল মালিক। এমন হুমকি গত কালই দিয়ে রেখেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। সেই সূত্রে গত ২৪ ঘণ্টায় অসম পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করল।

পহেলগামের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র কে বাহাউদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে এবিভিপি মামলা করেছে। তাদের অভিযোগ, কাছাড় জেলার কাটিগড়ার বাসিন্দা বাহাউদ্দিন পহেলগামের ঘটনা ও হিন্দুদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। সমাজের ধর্মীয় সৌহার্দ্যমূলক ভাবনাতেও আঘাত করেছেন। চৌধুরী অবশ্য পরে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষও ঘটনাটির তদন্ত করছেন।

এ ছাড়া সমাজমাধ্যমে পহেলগাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে আইনজীবী মোহাম্মদ জাভেদ মজুমদারকে কাছাড় জেলায় এবং মোহাম্মদ জবির হোসেন নামে এক যুবককে হাইলাকান্দিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। বরপেটা থেকে ধরা হয় ২৫ বছরের জারিফ আলিকে। বিশ্বনাথে গ্রেফতার হন ছাত্র মুক্তি সংগ্রাম সমিতির জেলা সম্পাদক অনিল বনিয়া। মারিগাঁওয়ের মহম্মদ মহাহার মিঁঞা, শিবসাগরের সাহিল আলিকেও ধরেছে পুলিশ। ইউডিএফ বিধায়ক আমিনুল ইসলামকে গত কালই গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউডিএফের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই সময়ে এমন বক্তব্য রাখা উচিত নয়। ভারত সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে দাঁড়ানো উচিত।’’ উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মেঘালয় পুলিশও সাইমন শিলা নামে একে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

পহেলগামে নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে হিমন্ত বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে অসম দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির একটি। তাই আমরা ওই পরিবারগুলির বেদনা গভীর ভাবে অনুভব করি।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে জনসভায় হিমন্ত বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি, এখানকার কিছু লোক পরোক্ষ ভাবে ফেসবুক এবং ওয়টস্যাপে পাকিস্তানের সমর্থনে পোস্ট করছেন। অসমের মাটিতে যারা পাকিস্তানের দালালি করবে, তাদের আমরা ছাড় দেব না। হিন্দু ও মুসলিমদের ভারতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।’’ হিমন্ত পাকিস্তান সফর করা কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজ়াবেথের পাক-সংযোগ নিয়েও সরব। গগৈ বলেন, ‘‘পাকিস্তানের উদ্দেশ্য, জম্মু ও কাশ্মীর এবং ভারতকে অস্থির করা। আমরা এই ভয়াবহ হামলার নিন্দা করছি ও ভারত সরকারের তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া দাবি করছি।’’

আরও পড়ুন