(বাঁ দিকে) সচিন মীনা এবং সীমা হায়দর। — ফাইল চিত্র।
অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে ‘পাক বধূ’ সীমা হায়দরের সংসার পাতার গল্প অনেকেই জানেন। গত বছর মে মাসে গ্রেটার নয়ডার সচিন মীনার প্রেমে পড়ে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে এসেছিলেন সীমা। তার পর সচিনের সঙ্গে সুখেই সংসার করছেন সীমা। সেই সুখেই এ বার বাদ সাধলেন সীমার প্রাক্তন স্বামী গুলাম হায়দর। মীনা দম্পতিকে তিন কোটি টাকা খেসারত দিতে হবে— এই মর্মে নোটিস পাঠিয়েছেন তিনি। নোটিসে বলা হয়েছে, এক মাসের মধ্যে ‘ক্ষমা’ চাইতে হবে সচিন এবং সীমাকে। সেই সঙ্গে ভারতীয় মুদ্রায় তিন কোটি টাকা খেসারত দিতে হবে। যদি তা না হয়, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গুলাম।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গুলামের হয়ে মীনা দম্পতিকে নোটিস পাঠিয়েছেন আইনজীবী আলি মোমিন। পাকিস্তান থেকে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে এসেছিলেন সীমা। সন্তানদের নিজের হেফাজতে নেওয়ার জন্য গুলাম আইনি পথে চলার সিদ্ধান্ত নেন। যোগাযোগ করেন পাকিস্তানের আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী আনসার বরনির সঙ্গে। ভারতে সমস্ত রকম আইনি প্রক্রিয়া চালানোর জন্য মোমিনকে দায়িত্ব দেন আনসার। তিনিই নতুন করে মীনা দম্পতিকে নোটিস পাঠালেন।
সীমার সঙ্গে সচিনের প্রেমকাহিনি শুরু হয় ২০১৯ সালে। অনলাইন গেম খেলতে খেলতেই আলাপ হয় দু’জনের। বন্ধুত্ব পেরিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লকডাউন পর্বে অনলাইনে চুটিয়ে প্রেম করেন তাঁরা। পরবর্তী সময়ে ঠিক করেন, একসঙ্গে সংসার পাতবেন। দু’জনে চলে যান নেপালে। পশুপতিনাথ মন্দিরে গিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। তার পর গত বছর ১৩ মে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। থাকতে শুরু করেন গ্রেটার নয়়ডায় সচিনের বাড়িতেই।
খবর পেয়ে ৪ জুলাই পুলিশ সীমাকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে সচিন এবং তাঁর বাবাকেও আটক করে জেরা করে পুলিশ। অবৈধ ভাবে প্রবেশের পাশাপাশি সীমার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিরও অভিযোগ ওঠে। প্রকাশ্যে আসে নাম ভাঁড়ানোর গল্পও। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, নেপালে বেনামে হোটেল বুক করে ছিলেন সীমারা। কেন তিনি নাম বদল করেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত জেল থেকে ছাড়া পান সীমা। পরে তাঁর আবার অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার খবরও প্রকাশ্যে এসেছিল। জানা গিয়েছিল, সচিনের সন্তানের মা হতে চলেছেন তিনি। সেই সুখী সংসারে ধেয়ে এল নতুন বিপদ।