India-Bangladesh Relation

জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হাসিনার, মোদী-সাক্ষাতে শনিবার সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের সম্ভাবনা

শুক্রবার হাসিনাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ। সন্ধ্যায় হাসিনা বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৪ ২১:৩৪
S Jaishankar called on the visiting Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina

(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

দু’দিনের সফরে শুক্রবারই ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দু’দিন দিল্লিতে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। শুক্রবার ভারতে এসেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে একান্ত বৈঠক সারেন হাসিনা। বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর জানান, হাসিনার এই সফর ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ এবং স্থায়ী’ সম্পর্ককে মজবুত করবে।

Advertisement

হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জয়শঙ্কর লেখেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। তাঁর এই সফর আমাদের দু’দেশের স্থায়ী এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে জোরদার করবে।’’

শুক্রবার হাসিনাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ। এই সফর দু’দেশের সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

প্রসঙ্গত, মোদী প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয় বার শপথগ্রহণের পর হাসিনাই প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি প্রথম ভারত সফরে এলেন। এর আগে গত ৯ জুন মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ পেয়ে ভারতে এসেছিলেন শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা। এ বার অবশ্য সরকারি সফরে এসেছেন তিনি।

শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সংবর্ধনা এবং ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হবে। ওই দিনই রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, শনিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসবেন হাসিনা। ওই বৈঠকের পর ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একাধিক মউ (সমঝোতাপত্র) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। ওই দিনই হাসিনার সম্মানে একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে হাসিনার। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন হাসিনা।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, মোদী-হাসিনা বৈঠকে গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি, তিস্তা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মংলা বন্দরের কাজকর্ম নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হতে পারে। ইতিমধ্যেই তিস্তা প্রকল্প নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে চিন। যা ভাল চোখে দেখছে না দিল্লি। জুলাই মাসেই বেজিং সফরে যাওয়ার কথা হাসিনার। তার আগে হাসিনার ভারত সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন
Advertisement