শিল্পপতি গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং সাত জনের বিরুদ্ধে আমেরিকার আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে এ বার মুখ খুলল নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, আদানিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে আমেরিকা এখনও যোগাযোগ করেনি। কোনও অনুরোধও করা হয়নি।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, আমেরিকায় আদানি সম্পর্কিত আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার প্রেস বিবৃতি দেওয়ার সময় বলেন, ‘‘এটা আমেরিকার বিচার বিভাগ এবং ব্যক্তিবিশেষের মধ্যেকার আইনি বিষয়।’’ তবে এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠিত আইনি এবং পদ্ধতিগত পদক্ষেপই অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
সম্প্রতি আমেরিকার আদালত সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ এবং ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে আদানিকে। জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। অভিযোগ, বাজারের থেকে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের মোট ২২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আদানিরা। ‘আদানি গ্রিন এনার্জি’ আমেরিকার শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে। সে দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে তারা আমেরিকার আইন মেনে চলতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে তারা ঘুষের টাকা আমেরিকার বাজার থেকে সংগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ, যা বেআইনি। ফলে মামলার মুখে পড়েছে তারা।
নিয়ম অনুযায়ী, আমেরিকাকে যদি আদানিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা-সহ কোনও আইনি পদক্ষেপ ভারতে করতে হয়, তবে অবশ্যই ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে অবহিত করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই সেই কাজ সম্ভব। আমেরিকা প্রশাসন যদি আদানিকে সে দেশে নিয়ে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি করতে চায়, তবে দু’দেশের মধ্যেকার প্রত্যাপর্ণ চুক্তি অনুসরণ করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আমেরিকা প্রশাসনকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় তথ্য ও নথি, ভারত সরকারকে পাঠাতে হবে।