কমল নাথ। ফাইল চিত্র।
হাল ছেডে় দিয়ে সোমবার জয়পুর থেকে দিল্লি ফিরে এসেছেন এআইসিসির দুই পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং অজয় মাকেন। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থানে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের জন্য অশোক গহলৌত এবং সচিন পাইলটের সঙ্গে আলোচনার ভার মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।
কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির মুখপাত্রা শেহজাদ পুণেওয়ালা। তাঁর টুইট, ‘রাজস্থানে যুযুধান গোষ্ঠীগুলির মধ্যস্থতার ভার কমল নাথকে দেওয়া হয়েছে। গান্ধীদের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রভাবের আর কি কিছু অবশিষ্ট রয়েছে? তাঁরা কি তাঁদের অদক্ষতা স্বীকার করবেন?’ মধ্যপ্রদেশে দলের ভাঙন এড়াতে ব্যর্থ কমল নাথকে রাজস্থানের দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও কংগ্রেসকে খোঁচা দেন তিনি।
কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচিত হলে অশোক গহলৌতকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে বলে গত সপ্তাহে বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এর পর এআইসিসি নিযুক্ত দুই পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং অজয় মাকেন রবিবার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের জন্য বিধায়কদের মত জানতে জয়পুরে গিয়েছিলেন। কিন্তু গহলৌত অনুগামীরা তাঁদের সঙ্গে দেখা না করে গহলৌত অনুগামী মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে পৃথক বৈঠক করেন।
এর পর স্পিকার সিপি জোশীর বাড়ি গিয়ে অন্তত ৮২ জন গহলৌত অনুগামী বিধায়ক ইস্তফা দেন বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর। পাইলটকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করা হলে দল ছাড়ারও হুমকি দেন তাঁরা। মাকেন সোমবার গহলৌত গোষ্ঠীর এই পদক্ষেপকে সরকারি ‘দলবিরোধী’ বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে গহলৌতকে দলের পরবর্তী সভাপতি না করার জন্য এআইসিসি প্রতিনিধিদের একাংশ সোমবার আবেদন জানিয়েছেন বিদায়ী কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার কাছে।