NEET Paper Leak Case

সঙ্ঘের অযোগ্যেরা মাথায় বলেই এই দশা, বললেন রাহুল

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৪ ০৮:২৮

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথায় বিজেপি, আরএসএসের মধ্যমেধার অযোগ্য লোকেদের বসানোর ফলেই শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘জরুরি অবস্থা’ তৈরি হয়েছে বলে রাহুল গান্ধী আজ অভিযোগ তুললেন।

Advertisement

ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এ প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিক্রি, তারপরে প্রশ্ন ফাঁসের জেরে কলেজ শিক্ষকদের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা নেট বাতিলের পরে আজ রাহুল সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, মোদী সরকারের আমলে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে এবং শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের মাথায় বিজেপি, আরএসএসের লোকদের বসানো হয়েছে। শুধুমাত্র তাঁদের মতাদর্শ দেখে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বিজেপি-আরএসএস সমস্ত প্রতিষ্ঠান ‘হাইজ্যাক’ করে নিয়েছে। তার ফলেই মোদী সরকারের আমলে গত সাত বছরে ২০টি সরকারি চাকরি বা প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।

নিট ও নেট-এর পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্ব ছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-এর উপরে। সংস্থার চেয়ারপার্সন প্রদীপ কুমার জোশী এর আগে ইউপিএসসি-র প্রধান, তার আগে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান ছিলেন। সে সময়ে তাঁর জন্য আরএসএসের প্রচারক বিনোদজি লিখিত সুপারিশ করেছিলেন। জোশী সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র পদেও ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন এনটিএ-র পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরে মোদী সরকার তাঁকেই তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছিল। আজ রাহুল বলেন, ‘‘যে সব সংস্থার হাতে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব, সেখানে যদি মতাদর্শের ভিত্তিতে মধ্যমেধার লোকেদের নিয়োগ করা হয়, এমনটা হবেই। যাঁরা দেশের সংস্থাকে এ ভাবে করায়ত্ত করেছে, তাঁরাই দোষী।’’

আজ বিরোধী শিবিরের সব নেতা প্রথমে নিট, তারপরে নেট-এর প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। আগামিকাল কংগ্রেস মোদী সরকারকে ‘পেপার লিক সরকার’ তকমা দিয়ে রাস্তায় নামছে। সংসদের অধিবেশনে বিরোধী জোট এ নিয়ে সরব হবে বলে রাহুল জানান। তিনি বলেন, ‘‘সরকারকে এতটাই চাপ দেব যে তারা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।’’

আজ রাহুল ১৫ জন নিট-পরীক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করেন। সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, ‘‘দেশের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে।’’ তাঁর অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশে ব্যপম কেলেঙ্কারি হয়েছিল, গুজরাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। মোদী সেটাই দেশে ছড়ানোর কাজ করছেন। রাহুলের বক্তব্য, অগ্নিবীর চালু করে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ করে চাকরির সুযোগ কমানো হয়েছে। ফলে শিক্ষার এই সঙ্কট, প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্কট হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement