PK

লালু-নীতীশমুক্ত বিহার গড়ার অঙ্গীকার! নতুন দলের দুই প্রধান লক্ষ্যের কথা জানালেন পিকে

পিকে আগেই জানিয়েছিলেন যে, ২ অক্টোবর তাঁর নতুন দল পথ চলা শুরু করবে। রবিবার এই প্রসঙ্গে পিকে জানান, ওই দিন বিহারের এক কোটি মানুষ একত্রিত হয়ে তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ২১:৩৯
প্রশান্ত কিশোর।

প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র

এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করেনি তাঁর নতুন রাজনৈতিক দল ‘জন সুরজ’। তবে তার আগেই দলের প্রধান দুই লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করে দিলেন প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। প্রাক্তন এই ভোটকুশলী আগেই জানিয়েছিলেন, আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসে তাঁর নতুন দল পথ চলা শুরু করবে। রবিবার এই প্রসঙ্গে পিকে জানান, ওই দিন বিহারের এক কোটি মানুষ একত্রিত হয়ে তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।

Advertisement

দলের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পিকে জানান, জন সুরজের প্রধান লক্ষ্য দু’টি। এক, বিহার থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের অন্য রাজ্যে যাওয়া বন্ধ করা। এবং দুই, বিহারকে সে রাজ্যের দুই প্রধান রাজনীতিক লালুপ্রসাদ যাদব এবং নীতীশ কুমারের শাসন থেকে মুক্ত করা। তবে নতুন দলে নিজের ভূমিকাকে গৌণই রাখতে চেয়েছেন পিকে। রবিবার তিনি বলেন, “প্রশান্ত কিশোর ২ অক্টোবর কোনও দল গঠন করছেন না। বিহারের এক কোটি মানুষ তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে একজোট হচ্ছেন।” মনে করা হচ্ছে, কর্মসংস্থানের দিকে জোর দেওয়ার প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত রয়েছে পিকের এই মন্তব্যে। অন্য দিকে, পরোক্ষে লালুর আরজেডি এবং নীতীশের জেডিইউকেও আক্রমণ করেছেন তিনি।

ভোটকুশলী হিসাবে সুনাম অর্জন করা পিকে ২০২১ সালেই জানিয়ে দেন, তিনি এই পেশায় আর থাকতে চান না। তার পর থেকে কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটকৌশল তৈরি না করলেও পিকে নানা রাজনৈতিক বিষয়ে নিজের মত জানিয়েছেন। ভোটের ফলাফলের পূর্বাভাসও দিয়েছেন।

জন্মসূত্রে বিহারের বাসিন্দা পিকে সে রাজ্যের তৃণমূল স্তরের মানুষ জনের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের মতো ইস্যুগুলিকে তুলে ধরতেই শুরু করেছিলেন ‘জন সুরজ অভিযান’। সম্প্রতি সেই উদ্যোগকে এক ধাপ এগিয়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে উন্নীত করার কথা জানান তিনি। ২০২৫ সালে বিহারের বিধানসভা ভোটে নীতীশের জেডিইউ-র বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বইতে পারে বলে চর্চা শুরু হয়েছে। আবার আরজেডির ভোট ব্যাঙ্কও মুসলিম ও যাদব ভোটব্যাঙ্ক ছাপিয়ে কতটা বাড়তে পারবে, তা নিয়েও চর্চা রয়েছে। এ সবের মধ্যে বিহারের ভোটে নতুন দলকে সামনে রেখে জনমানসে ছাপ ফেলার চেষ্টায় রয়েছেন প্রশান্ত।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জেডিইউ-তে যোগ দিয়ে দলের সহ-সভাপতি হয়েছিলেন পিকে। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়ে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই পিকের পরিচিতি নীতীশের ‘কট্টর সমালোচক’ হিসাবে।

আরও পড়ুন
Advertisement