প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমারের পাশে ভারত। সে দেশের সেনা (জুন্টা) সরকারের প্রধানকে ফোন করে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পড়শি দেশ মায়ানমারের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই ‘অপারেশন ব্রহ্ম’ চালু করেছে ভারত। অন্তত ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মায়ানমারে পৌঁছেছে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৩০জে বিমান। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে খাবার, কম্বল, তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, সোলার ল্যাম্প, জল পরিশোধক এবং গুরুত্বপূর্ণ ওষুধপত্র।
শনিবার মোদী নিজেই মায়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধানের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের কথা জানান। সমাজমাধ্যমে লেখেন, “মায়ানমারের সিনিয়র জেনারেল এইচই মিন আউং হ্লাইংয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু মানুষের প্রাণহানি হওয়ায় আমাদের গভীর সমবেদনার কথা তাঁকে জানিয়েছি।” একই সঙ্গে মোদী লেখেন, “ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশী হিসাবে ভারত এই কঠিন সময়ে মায়ানমারের মানুষের পাশে রয়েছে।”
শুক্রবার সকাল থেকে পর পর ১৫ বার কেঁপেছে ভারতের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী দেশটি। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার পরে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ১৪টি ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন) অনুভূত হয়। ভূমিকম্প তছনছ করে দেয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবচেয়ে শক্তিশালী ‘আফটারশক’টি হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৭। উভয়ক্ষেত্রেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই দুই কম্পনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের কারণে ইতিমধ্যেই সে দেশে মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। শনিবার সকালে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, অন্তত ৬৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পের কারণে। আহতের সংখ্যা ১৬৭০। পরে মায়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানায়, মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০০২। আহত হয়েছেন ২,৩৭৬ জন। নিখোঁজ ৩০ জন। এখনও দেশের বিস্তীর্ণ অংশে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।