প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
দিল্লি নির্বাচনের আগে সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে আম আদমি পার্টিকে (আপ) নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ দিল্লিরই ভারত মণ্ডপমে গ্রামীণ ভারত মহোৎসবের সূচনা করে দেশের গ্রামীণ জীবনে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। তাঁর দাবি, পরিকাঠামো, মৌলিক পরিষেবা, রোজগার এবং ব্যবসার সুযোগ বাড়াতে গ্রামীণ যুবকদের পাশে আছে তাঁর সরকার। সেইসঙ্গে মুদ্রা যোজনা, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়ার মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় যোজনাগুলির প্রচার করে মোদী আজ তাঁর বক্তৃতায় জানিয়েছেন, ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলির প্রভূত উপকার হয়েছে তাঁর জমানায়। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‘আমার সরকারের অগ্রাধিকার হল গ্রামীণ ভারতের মানুষের জীবনকে মর্যাদাপূর্ণ করে তোলা।’’
শুধুমাত্র বাণিজ্য বা রোজগারই নয়, গ্রামবাসীর জীবন কী ভাবে তাঁর সরকার সহজ করে দিয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্বচ্ছ ভারত মিশন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, জল জীবন মিশনের উল্লেখ করেছেন তিনি। মোদীর কথায়, “দেড় লাখেরও বেশি আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে টেলিমেডিসিন এবং হাসপাতালের সেরা চিকিৎসকদের পরিষেবার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।” অতিমারির প্রসঙ্গ তুলে মোদী জানিয়েছেন গোটা বিশ্ব তাজ্জব হয়ে দেখেছে ভারতের গ্রামগুলি কী ভাবে এই মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে দিন। প্রতিটি গ্রামের শেষতম ব্যক্তিটির কাছে করোনার টিকা পৌঁছেছে বলে তাঁর বক্তৃতায় দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ দিন ভারত মহোৎসবের কারিগরদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (নাবার্ড)-এর চেয়ারপার্সন সাজি কেভি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সংবর্ধনা জানান। গ্রামীণ ভারত মহোৎসব ২০২৫-এর উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমাদের গ্রামগুলি যত বেশি সমৃদ্ধ হবে, উন্নত ভারতের সংকল্পে পৌঁছতে তাদের ভূমিকা তত বেশি হবে। এই অনুষ্ঠান গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে।” সরকারি সূত্রের মতে, মহোৎসবের একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষ্য হল গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়ন। পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতে বিশেষ অগ্রাধিকার-সহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আর্থিক নিরাপত্তার প্রচার।